উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং-এর ১১০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের মূল চত্বরে আতশবাজি, সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালিত হয়েছে। পারমাণবিক ক্ষমতাধর উত্তর কোরিয়া সাধারণত এই ছুটির দিনে তাদের নতুন উদ্ভাবিত অস্ত্র প্রদর্শন করে থাকে। তবে এবছর বেশ কয়েকটি অস্ত্র পরীক্ষার এই উৎসবের দিনে স্বাভাবিক সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শিত হয়নি। তিন সপ্তাহ আগে দেশটি ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিএমবি) পরীক্ষা চালায়। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দিনটি উপলক্ষে তার দাদার সমাধি পরিদর্শন করেন এবং পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং চত্বরে ‘একটি জাতীয় বৈঠক এবং প্রকাশ্য মিছিলে’ অংশ নেন। তবে তিনি প্রকাশ্য কোনও ভাষণ দেননি। বৈঠকে কথা বলেন এক সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া সব জটিলতা কাটিয়ে উঠবে সবসময়ই বিজয়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক আয়োজনের ফুটেজ সরাসরি সম্প্রচার করে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাসহ বিশ্লেষকেরা ব্যাপকভাবে ধারণা করেছিলেন উত্তর কোরিয়া এই উৎসবে নতুন অস্ত্র প্রদর্শন করতে পারে কিংবা দেশটির জন্য নিষিদ্ধ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে। তবে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে সামরিক মহড়ার কথা কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। উল্লেখ্য, কিম ইল সুং ১৯৯৪ সালে মারা যান। তবে তিনি এখনও দেশটির ‘চিরন্তন প্রেসিডেন্ট’। রাজধানীর বাইরে এক প্রাসাদে তার লাশ মমি করে রাখা আছে। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন