সুস্বাধু ও মুখরোচক খাবার হালিম। রমজানে ইফতারে এটি বড় একটি অনুষঙ্গ। এই খাবারটি আবিষ্কারের দাবিদার অনেক দেশ হলেও এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের খাবার। অনেকেই মনে করতেন যে, হালিম হয়তো ভারতীয় একটি খাবার। কিন্তু এর মূল রেসিপিটি এসেছে ভারতীয় উপমহাদেশে আসা আরবদের বংশধরদের থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীনতম খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে হারিস। এই খাবারটির তথ্য বাগদাদে সংকলিত ১০ম শতাব্দীর প্রাচীনতম আরবি রান্নার বই ‘কিতাব আল-তাবিহ’ (থালা-বাসনের বই) তে রয়েছে। হারিস নামটি এসেছে আরবি শব্দ ‘হারসা’ থেকে। এর অর্থ ম্যাশ করা বা স্কোয়াশ করা। নাম থেকেই অনেকটা আন্দাজ পাওয়া যায় খাবারটি সম্পর্কে। হারিস তৈরিতে গমকে ছাগলের মাংস দিয়ে মেখে তার পর ঘন হওয়া পর্যন্ত কম আঁচে রান্না করা হয়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই খাবারটি অভিবাসীদের মাধ্যমে ১৭ শতকে ভারতের হায়দরাবাদে আসে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তাদের বংশধররা পাকিস্তানে চলে এসে বর্তমান করাচি বন্দরের হায়দরাবাদ কলোনিতে বসতি স্থাপন করে। তখন থেকেই এ খাবারটি পাকিস্তানেও পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। সেখানের শেখ সাইদ বিন মহসিন বাকিরফ আলামুদি জানান, তার বাবা হায়দরাবাদ থেকে পাকিস্তানের করাচিপাড়ায় আসেন। কিন্তু তার পরিবারের উৎপত্তি হচ্ছে ইয়েমেনে। হায়দরাবাদ কলোনির বাসিন্দা সৈয়দ মুমতাজ আলি নামে এক ব্যক্তি জানান, এটি (হালিম) আরবদের একটি খাবার। তার বাবা পাঁচ দশক আগে সেখানে হারিসের দোকান করেছিলেন। তার বাবার ব্যবসার ধারাবাহিকতায় তিনি নিজেরও একটি দোকান চালান সেখানে। তিনি আরও বলেন, রান্নার পদ্ধতি একই। আমি সেটি পরিবর্তন করিনি। গম, মাংসের একই মিশ্রণে শুধু আমাদের নিজস্ব মসলা যোগ হয়েছে। আরব নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন