ব্রিটেনের অন্তত ৫৬ এমপির বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। পার্লামেন্টের অভিযোগ তদন্তকারী আইসিজিএস-এর কাছে এসব অভিযোগ রিপোর্ট করা হয়েছে। সানডে টাইমসের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ওই ৫৬ এমপির বিরুদ্ধে প্রায় ৭০টি যৌন অসদাচরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে গুরুতর অপরাধের অভিযোগও রয়েছে। সানডে টাইমস বলছে, কোনো তৃতীয় পক্ষ এই অভিযোগগুলো এনেছে এবং অভিযোগগুলো এখনও প্রমাণিত হয় নি। যদিও এর আগেও ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে এ ধরণের ব্যাপক অভিযোগ এসেছে। গত সপ্তাহেই এমপি ইমরান আহমদ খান যৌন হয়রানির অভিযোগে পদত্যাগ করেন। ২০০৮ সালে তিনি ১৪ বছরের একজনকে যৌন হয়রানি করেছিলেন। এর আগে কনজার্ভেটিভ দলের এমপি ডেভিড ওয়ারবারটনও নারীদের শারীরিকভাবে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছিলেন। এছাড়া গত বছর ধর্ষণের অভিযোগে অজ্ঞাত এক কনজার্ভেটিভ এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দেশটিতে। সাবেক কনজার্ভেটিভ এমপি চার্লি এলফিকের বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছিল। বিশ্বজুড়ে সাড়া জাগানো ‘মিটু আন্দোলনের’ প্রেক্ষিতে বৃটিশ এমপিদের এ ধরণের ব্যবহার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) দুই এমপির বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। প্যাট্রিক গ্রাডি এবং প্যাট্রিসিয়া গিবসন নামের ও দুই এমপির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ২০১৬ সালে বড়দিনের এক পার্টিতে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে গ্লাসগো নর্থের এমপি গ্রাডির বিরুদ্ধে। অপরদিকে, নর্থ আয়ারশায়ার এন্ড অ্যারানের এমপি গিবসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পার্লামেন্টের স্ট্রেঞ্জার্স বারের সদস্যদের নিয়ে অসংগতিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। সানডে টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন