ইনকিলাব ডেস্ক : নাইজেরিয়ায় দুইটি গ্রামে ব্যাপক তা-ব চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সংগঠনটির হামলায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ইয়াকশিয়ার ও কাচিফা এলাকায় গত শুক্র ও শনিবার জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা এ হামলা চালায়। এ সময় তারা গ্রামবাসীর ওপর নির্বিচারে গুলি ছুড়ে ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তাদের এ হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, এ সময় বোকো হারাম সদস্যরা গ্রামবাসীর অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র ও গৃহপালিত পশু লুটে নেয়। দু’টি গ্রামে হামলার পেছনে সংগঠনটির একই সদস্যরা জড়িত বলেও জানা গেছে। ২০০৯ সাল থেকে নাইজেরিয়ায় উত্থানের পর জঙ্গি সংগঠনটি দেশটিতে অন্তত ১৭,০০০ মানুষকে হত্যা করেছে। এছাড়া তাদের তা-ব থেকে বাঁচতে অন্তত ২৬ লাখ মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, চলতি মাসের প্রথম দিকেই সোমালিয়ায় একটি বিমানে বিস্ফোরণের কারণে ছিদ্র হয়ে গিয়েছিল। আর সেই ছিদ্র দিয়ে ১৪ হাজার ফুট নিচে পড়ে মারা যান এক বৃদ্ধ। এবার সেই হামলায় দায়ভার স্বীকার করলো জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব। গত শনিবার পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা জানায়, বিমানে তুরস্ক ও পশ্চিমা গোয়েন্দারই তাদের লক্ষ্য ছিল। তারা পুরো বিমানই ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। তবে আবারো হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানায় তারা। বিমানে উপস্থিত অন্য যাত্রীরা জানিয়েছিলেন, বিস্ফোরণে প্রবীণ এক মানুষের গায়ে আগুন লেগে যায় এবং সে পড়ে যায়। ঘটনায় বিমানের ৭৪ জন যাত্রীর মধ্যে দু’জন গুরুতরভাবে আহত হয়। সোমালিয়ার উপ রাষ্ট্রদূতও দুর্ঘটনার সময় বিমানে ছিলেন। তার অভিজ্ঞতা, হঠাতই তিনি বীভৎস জোরে একটা আওয়াজ শুনতে পান। তবে তিনি সুস্থ রয়েছেন। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন