বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রাস আধনোম ঘেব্রিয়াসুস গুজরাটের গান্ধীনগরে গ্লোবাল আয়ুস ইনভেস্টমেন্ট ও ইনোভেশন নামের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপস্থিত জনতার সামনে গুজরাটি ভাষায় বলেন, মহাত্মা গান্ধীর দেশে আসতে পারে আমি সৌভাগ্যবান। বর্তমান ভারতে সফরে রয়েছেন তিনি। এদিন ঘেব্রিয়াসুস বলেন, প্রচীন ওষুধগুলি ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি। তিনি বলেন ঐতিহ্যহত ওষুধের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার সহায়তার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী ও কৌশলগত বিনিয়োগ অত্যান্ত জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস ঘেব্রিয়াসুস বলেন, সাধারণভাবে ওষুধের জন্য ও বিশেষ করে ঐতিহ্যহত ওষুধের জন্য উদ্ভাবন বাস্তুতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য় সরকারে প্রতিশ্রুতিসহ দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত বিনিয়োগ প্রয়োজন। আধনোম তার ভাষণে বলেন ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। তিনি বলেনস সাধারণভাবে ওষুধের জন্য ও বিশেষ করে ঐতিহ্যগত ওষুধের জন্য উদ্ভাবন বাস্তুতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিসহ দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত বিনিয়োগ প্রয়োদন। উদ্ভাবক, শিল্প ও সরকারকে টেকসই পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল ও ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে ঐতিহ্যগত ওষুধ বিকাশ করতে হবে।
অন্যদিকে এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানকে নতুন একটি নাম দিয়েছেন। তিনি ঘেব্রিয়াসুসের নাম দিয়েছেন ‘তুসসী ভাই’। শীর্ষ সম্মেলনে মোদী শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন এদিন সকালে তাঁকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছিলেন তার যেন একটি গুজরাটি নাম দেওয়া হয়। তারই উত্তরে মোদী বলেন, মহাত্মা গান্ধীর জন্মভূমিতে তিনি টেড্রোসের নতুন নাম দিলেন তুলসী ভাই। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় সমাজে তুলসীর প্রয়োজনীয়তা ও ভেষজ গুণাগুনের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মে তুলসীর গুরুত্বের কথা ভুলে যাচ্ছে। বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানো এই দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে একটি। তিনি এই অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বিদেশী নাগরিকদের জন্য আয়ুষ ভিসা চালু করা হবে ভারতে। ভিসার মাধ্যমে বিদেশী নাগরিকরা এই দেশে আয়ুষ থেরাপি নিতে আসতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্রাডিশনাল মেডিসিন বিশ্বের মানুষের জন্য ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করবে। এর কেন্দ্রটি থেকে প্রচুর মানুষ আগামী দিনে উপকার পাবেন। ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বনসকাঁথা কেন্দ্রে দুধ ও আলু প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। পাশাপাশি এই কেন্দ্র থেকে কৃষকদের কৃষি ও পশুপালন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হবে। গান্ধীনগরের স্কুলগুলির প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন করবেন। এখানে কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। দাহদে প্রধানমন্ত্রী আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে এই সম্প্রদায়ের জন্য একাধিন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। সূত্র : এশিয়ানেট নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন