ত্রিপুরার সেপাহিজলা জেলার দেবিপুরে একটি প্রজনন খামারে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর ধরা পড়ার পরই তৎপরতা দেখাল ত্রিপুরা সরকার। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য জেলার বিভিন্ন অংশে শুয়োর মারার ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর আগে একটি খামার থেকে পরপর শুয়োর মৃত্যুর খবর পাওয়া যেতে থাকে। এরপরই প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ সেই খামার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা গুয়াহাটির উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক রোগ নির্ণয়ক পরীক্ষাগারে পাঠায়। সেখানে পরীক্ষা করে জানা যায় শুয়োরগুলির শরীরে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুয়ের ভাইরাস রয়েছে।
এই বিষয়ে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ভগবান দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনটি শুয়োর থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায় যে প্রাণীগুলো আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরে আক্রান্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করার পরই আমরা জেলায় শুয়োরদের মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে গণহারে শুয়োর মারার আগে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকার জন্য অপেক্ষা করছি।’ প্রসঙ্গত এর আগে, পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরামে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের কেস সনাক্ত করা গিয়েছিল।
প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের একজন আধিকারিক বলেছেন যে ২৯ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৩টি শুয়োর মারা গিয়েছে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরে। আধিকারিক বলেন, ‘জেলার মোট শুয়োর সংখ্যা ২৮৯টি। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৩টি মারা গিয়েছে। আমরা বাকি শুয়োর মারার জন্য কেন্দ্রের নিশ্চিতকরণের অপেক্ষা করছি। সাধারণত এই সব ক্ষেত্রে খামারের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে পাওয়া সব শুয়োর মেরে ফেলা হয়।’ সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন