শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দিল্লির দাঙ্গাবিক্ষুব্ধ এলাকায় বিজেপির বুলডোজার

সুপ্রিম নির্দেশিকার পরও চলে উচ্ছেদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরও বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে উচ্ছেদ অভিযান জারি থাকে দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত জাহাঙ্গীরপুরীতে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিলেও দুপুর একটা পর্যন্ত উত্তর দিল্লি পুরনিগমের বুলডোজার দোকান-পাট, বাড়ি ভাঙতে থাকে। পরে সেখানে পৌঁছান বাম নেত্রী বৃন্দা কারাত। পরে পুলিশ জানায়, উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়েছে। এদিকে সুপ্রিম নির্দেশিকার পরও উচ্ছেদ অভিযান চলায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তবে বৃন্দা কারাতরা গিয়ে স্থানীয়দের শান্ত থাকার অনুরোধ করেন।

উল্লেখ্য, গতকাল সকালেই দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে বেআইনি নির্মাণকারীদের হঠাতে অভিযান শুরু করেছিল উত্তর দিল্লি পুরনিগম। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে হল। সিনিয়র অ্যাডভোকেট দুষ্মন্ত দাভে, কপিল সিবাল, পাভ সুরেন্দ্রনাথ এবং প্রশান্ত ভূষণ এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি উত্থাপিত করলে আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ মামলার শুনানি হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা।
এর আগে বিজেপি পরিচালিত উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছিল যে, বুধবার একটি যৌথ উচ্ছেদ অভিযান চালাবেন তারা। বেআইনি নির্মাণকারীদের হঠাতে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই এই জাহাঙ্গীরপুরীতেই হনুমান জয়ন্তীতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। এই আবহে এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই আগে থেকে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা ঠেলা থেকে বস্তি, একের পর এক সব ভাঙা হয়। এই আবহে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীনই তা বন্ধের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তবে নির্দেশিকা জারির অনেকক্ষণ পরে গিয়ে উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়।
উল্লেখ্য, দিল্লির এই এলাকাটি বিজেপিশাসিত এবং উত্তরপ্রদেশসহ হনুমান চল্লিশা নিয়ে সংঘর্ষ চলা সব জায়গাতেই এরূপ বুলডোজার হানা দিতে দেখা গেছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
আসলাম পারভেজ রহমান ২১ এপ্রিল, ২০২২, ৫:২৭ এএম says : 0
দেশে মুসলিমবিদ্বেষী ঘৃণাজীবি হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ক্ষমতায়। মুসলিমবিদ্বেষের উপর ভিত্তি করেই হিন্দুত্ববাদের তাত্ত্বিক ভিত্তি রচিত হচ্ছে। এই রাজনীতির একটাই লক্ষ্য, একটাই উদ্দেশ্য -- সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করে মুসলমান জনগোষ্ঠীকে সামনে রেখে সংখ্যাগুরু হিন্দু ভোট কনসলিডেট করা। এই রাজনীতি সংখ্যাগুরু শ্রেণিকে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার রাজনীতি। এই রাজনীতি গরু, গোবর, গোমাংস, গোমুত্র, আর মুসলিমবিদ্বেষের রাজনীতি। এই রাজনীতি মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে যেকোন উপায়ে ক্রিমিনালাইজ করার রাজনীতি। এই রাজনীতি মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে প্রান্তিক করে রাখার রাজনীতি। এই রাজনীতি মুসলমানদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির ঘৃণিত নাগরিক বানিয়ে রাখার রাজনীতি। এই ঘৃণার রাজনীতিকে যে ঘৃণা করে না, আমি তাকে ঘৃণা করি। আপাদমস্তক মুসলিমবিদ্বেষের এই রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে সাধারণ মুসলমানের উপর ধর্মনিরপেক্ষতার বোঝ চাপিয়ে দেওয়া তথাকথিত লিবারেলকে আমি ঘৃণা করি। তুলনামূলক মৌলবাদের ন্যারেটিভ দিয়ে সংখ্যালঘু সাধারণ মুসলমানের উপর হিন্দুত্ববাদী সরকারের অত্যাচারকে বকলমে ভ্যালিডেট করা ছুপা হিন্দুত্ববাদী সেকুলারকে আমি ঘৃণা করি। যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবি কবি কেরানি প্রকাশ্য পথে এই রাষ্ট্রীয় অসভ্যতার বিচার চায় না, আমি তাকে ঘৃণা করি।
Total Reply(0)
shirajumazum ২১ এপ্রিল, ২০২২, ৭:৪৮ এএম says : 0
very sorry a government is the father mother of the every general mass. where there is no idents who are they. They evaluate only Man .government himself a justice . Don't forget result Tit for tat. hope be kind for all. you never think you from USA, U K. we all from India. wise all once ever thought the matter.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন