শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীন-ভীতি মোকাবেলার জন্য জাপানকে কাছে টানার চেষ্টা ভারতের

প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : এশিয়ায় চীনের মোকাবেলায় জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা আরো বাড়াতে চায় ভারত। গত শনিবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে উভয়ের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতিও দেয়া হয়েছে। পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর (এনএসজি) ভিয়েনা বৈঠকের আগে চীনের উপর চাপ তৈরি করার জন্যই মোদি সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা করা হয়। দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবাধ এবং মুক্ত বাণিজ্য থেকে শুরু করে যৌথ নৌ-মহড়ার মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করে চীনকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি ও টোকিও। বলা হয়েছে, এই এলাকায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বাড়াবে ভারত ও জাপান। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ এবং কৌশলগত সহযোগিতায় ওই এলাকায় গত দু’বছর ধরে সক্রিয়তা বাড়াতে শুরু করেছে ভারত এবং জাপান।
ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে যে দক্ষিণ চীনসাগর এলাকায় জোর করে অস্থিরতা তৈরি এবং আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করেছে বেইজিং। দক্ষিণ চীনসাগরে চীনের হস্তক্ষেপ রুখতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো সক্রিয় হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। সেই মিত্র দেশগুলোর মধ্যে জাপান এবং ভারতও রয়েছে। ভারত এবং জাপান উভয় দেশই দক্ষিণ চীনসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। সম্প্রতি পূর্ব চীনসাগরে একটি দ্বীপ দখল প্রশ্নে জাপানের পাশে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বেশকিছু দিন ধরেই ওই দ্বীপটি নিজেদের বলে দাবি জানিয়ে আসছে চীন ও জাপান। পাশাপাশি চিনের চোখ রাঙানিকে অগ্রাহ্য করে এই অঞ্চলে অবাধ বাণিজ্যের আরো দুই দাবিদার ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে উপকূলরক্ষী দিয়ে সাহায্য করেছে জাপান। অন্যদিকে মার্কিন হুঁশিয়ারিকে উড়িয়ে দিয়ে বেইজিংও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে দক্ষিণ চীনসাগরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার অধিকার তারা ছেড়ে দেবে না। কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের রায় চীনের বিপক্ষে গেছে। কিন্তু চীন বলেছে যে, এই রায় তারা মানবে না। এই অবস্থায় ফের একজোট হচ্ছে জাপান এবং ভারত। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন কোনো অবস্থান নেন কিনা সেটাও সতর্কতার সঙ্গে দেখে নিতে চাইছে এই দুই দেশ। ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন