নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে অন্যের উপরে দোষ চাপানো আওয়ামী লীগের আসল চরিত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ‘ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ,ড্যাব’ এর এক ইফতার মাহফিলপূর্ব আলোচনা সভায় নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে, নিউমার্কেটের ঘটনায় নাহিদ ছেলেটা যে নিউ মার্কেটের সংঘর্ষে প্রাণ দিয়েছে সে একজন কুরিয়ার সার্ভিসের ছোট কর্মচারি। সে ওই পথ দিয়ে যাচিছল তাকে পিটিয়ে, কুপিয়ে হত্যা করেছে হেলমেট ধারী সন্ত্রাসীরা। এখন আমাদের মিডিয়ার সাংবাদিকরা ইনভেস্টিশন করে দেখেছেন যে, তিনজনকে আইডেনটিফাই করা গেছে হেলমেটধারী যারা সন্ত্রাসী তারা তিনজনই ছাত্র লীগের কর্মী। এখন গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন। তিনি শুধু গ্রেপ্তার হননি। আরো ২৪ জনের নাম দিয়ে মামলা হয়েছে তারা সবাই বিএনপির নেতা, ছাত্র দলের নেতা-কর্মী। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের আসল চরিত্র। খুন করবে তারা, আগুন দিয়ে বাড়ি পুঁড়িয়ে দেবে তারা। আবার সেই বাড়ির সামনে গিয়ে সেই অসুস্থ বিধবার সামনে ত্রাণ নিয়ে হাজির হবে।

ফখরুল বলেন, ‘আপনি দেখেন, গোলখানা (লক্ষ্য) তাদের। তারা সন্ত্রাস ঘটিয়ে বিএনপির নাম দেয়। ইতিপূর্বে তারা সন্ত্রাস করেছে, আগুন জ্বালিয়ে, ভাংচুর করেছে নাম দিয়েছে বিএনপির এবং সেইভাবে অসংখ্য গায়েবী মামলা তারা দিয়েছে। এই গায়েবী মামলা, গুম, খুন, নির্যাতন দিয়ে এরা টিকে আছে। এই না হলে তারা টিকে থাকতে পারতো না। টিকে আছে কাদের দ্বারা? যে রাষ্ট্রযন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আমলা, প্রশাসন, বিচার বিভাগ- এদের সহায়তা নিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনার সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তারা ২৩ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তারা ভেঙে দিয়েছে। আসুন আল্লাহতালার কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমাদেরকে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের হাত থেকে মুক্তি দেন। আমরা যেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই জনগনের একটি সরকার, জনগনের একটি পার্লামেন্ট আমরা গঠন করতে পারি।

ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব প্রফেসর আব্দুস সালাম ও দফতর সম্পাদক ডা. ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ফরহাদ হালিম ডোনার, একেএম আজিজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।