ইনকিলাব ডেস্ক : এশিয়ার পুঁজিবাজারে মঙ্গলবার ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প কি নীতি গ্রহণ করবেন, বিনিয়োগকারীরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। সূচকের পতন ঘটেছে সাংহাই এবং টোকিওর নিক্কির যথাক্রমে ০.২ শতাংশ ও ২২৫ পয়েন্ট। অপরিবর্তিত রয়েছে সিউলের কোসপি সূচক। এ ছাড়া হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক কিছুটা বেড়েছে। অ্যাল্প ও মাইক্রোসফটসহ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো খুব বেশি দুশ্চিন্তায় আছে। ইতোমধ্যে এসব কোম্পানির অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তারা আশঙ্কায় আছে, ট্রাম্পের নীতি চীন ও বিশ^বাজারে তাদের বিক্রি কমিয়ে দিতে পারে। ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মূল্য আরো বেড়েছে। সোমবার ইয়েনের মূল্যমান ছিল ১০৭.৮৭। মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৮.৩০তে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভেও প্রভাব ফেলছে ট্রাম্পের নীতি। তার পরিকল্পনা খোলাসা না হওয়া পর্যন্ত রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। সারা বিশে^ই বিনিয়োগকারীরা এখন তাকিয়ে আছেন ট্রাম্পের পরিকল্পনার দিকে। নির্বাচনী প্রচারণাকালে প্রকাশিত পরিকল্পনার নেতিবাচক যে প্রভাব পড়েছিল বিশ^ অর্থনীতিতে, তার রেশ এখনো আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কর হ্রাস এবং উচ্চ অবকাঠামোগত ব্যয় পরিকল্পনা অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ঘটাবে তবে, মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে। চীন ও অন্য এশীয় অংশীদারদের বিরুদ্ধে তার বাণিজ্যিক অবরোধ এশিয়ায় অর্থনীতিতে ধস নামিয়েছে। ইউরোপের অর্থনীতিও খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন