ইনকিলাব ডেস্ক : ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের প্রকাশ্য বিরোধিতা করার পরও সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনে ওই যুদ্ধের পক্ষে সোচ্চার থাকা বিশিষ্ট কয়েকজনকে শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা পদগুলোতে নিয়োগ করার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন রিপাবলিকান কর্মকর্তারা। ট্রাম্পের ওই নিরাপত্তা পদগুলোতে যারা ঠাঁই পেতে পারেন তাদের মধ্যে আছেন পররাষ্ট্রবিভাগের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা জন বোল্টন এবং গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক পরিচালক জেমস উলসি। দুইজনই ইরাক যুদ্ধের চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। যে যুদ্ধকে অনেক বিশ্লেষকই বর্তমান সময়ের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বিপর্যয় হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে পরিবর্তনের পরিকল্পনায় আরও যারা আছেন তারা হচ্ছেন, বোল্টনের শীর্ষ সহযোগী ফ্রেডরিক ফ্লিজ, যিনি এর আগে সিআইএ’র একটি ইউনিটে কাজ করতেন। যে ইউনিটটি ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার ত্রুটিপূর্ণ বেশিরভাগ গোয়েন্দা তথ্যই নিশ্চিত করেছিল। ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে তা আঁচ করা না গেলেও ইরাকে কাজ করা একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসনের পক্ষে যারা সোচ্চার ছিলেন তারা সেখানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়তে বাড়তি সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী হতে পারেন। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন