রাশিয়ার উপরে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো। ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিচালনায় রাশিয়া যাতে অর্থনৈতিক দিক থেকে অক্ষম হয়ে পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় আগে থেকেই ধুঁকছে রুশ অর্থনীতি। সংকট আরও তীব্র করতে নতুন করে এই ‘সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জি-৭ নেতারা। বিশ্বের সমৃদ্ধশালী সাতটি দেশ নিয়ে জি-৭ গঠিত। এতে রয়েছে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্র। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়ার যে সব ধনকুবেররা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন দিচ্ছে তাদের টার্গেট করে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জি-৭। এক যৌথ বিবৃতিতে জোটটি জানায়, যথাযথ সময় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। পাশাপাশি জ্বালানীর বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যারা রাশিয়ার সাধারণ জনগণের সম্পদ নষ্ট করছে ও পুতিনকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। আমরা পুতিনের সহযোগী ধনকুবেরদের এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপরে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবো। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞা পুতিনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও যুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনের পর জি-৭ নেতারা এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। তারা রাশিয়ার অর্থনীতির সবগুলো সেক্টরকে পঙ্গু করে দেয়ার কথা বলেন। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতেও পড়ছে বলে উদ্বেগ জানান অনেকে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে জ্বালানী, সার ও খাদ্য সরবরাহে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা করেন তারা। জি-৭ এর বিবৃতিতে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে বলা হয়, আমরা রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা ইউক্রেনকে অবরুদ্ধ করে না রাখে। ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিতে বাধা না দেয়। রাশিয়া যদি ইউক্রেনকে অবরুদ্ধ করে রাখে তাহলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। আলোচনায় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ইউক্রেনকে সমর্থন দিতে বিশ্বকে অবশ্যই দ্রুত আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেখানে সামরিক সহায়তা পাঠানো জরুরি। এতে তারা তাদের ভূমি রক্ষা করতে পারবে এবং রাশিয়ার দখল থেকে মুক্ত করতে পারবে। জি-৭ এর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুতিনের এই যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য লজ্জা বয়ে আনবে। দেশটির মানুষ ইতিহাসে যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা মলিন করে দেবে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন