করোনা ভাইরাসে উত্তর কোরিয়ায় সরকারিভাবে মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়েছে। ‘জ্বরে’ আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে তিন লাখ ৫০ হাজার মানুষ। উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছেÑ রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন এক টিভি ভাষণে বলেছেন, এ পর্যন্ত এক লাখ ৮৭ হাজার ৮০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে আছেন। এ সময় তাকে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরতে দেখা যায়। কিম জং উন করোনার এ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করছেন। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি ভাষ্যে বুধবার প্রথমবারের মতো কোভিড রোগী শনাক্তের কথা বলা হলেও দেশটিতে অনেক দিন থেকেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। উত্তর কোরিয়া সরকারিভাবে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়া কথা নিশ্চিত করার পর বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সাথে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এবার একসাথে তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়। দেশটির জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানান, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে স্বল্পপাল্লার তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এর আগে গত ২৪ মার্চ একই এলাকা থেকে উত্তর কোরিয়া তার সর্ববৃহৎ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হুয়াসং-১৭-এর পরীক্ষা চালিয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো গড়ে ৯০ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠার পর ৩৬০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সাগরে পতিত হয়েছে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নোবুয়ো কিশি এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপানি পানিসীমার কাছাকাছি পড়েছে। তিনি টোকিওতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যখন ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে তখন এ ধরনের ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য।’ ইতোমধ্যেই জাপান সরকার টোকিওতে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে নিজের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ব্যাপারে এখনো কোনো ঘোষণা দেয়নি উত্তর কোরিয়া। এদিকে, দেশটিতে বেশির ভাগ মানুষকেই করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হয়নি। ফলে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সেখানে ভয়াবহভাবে বিস্তার লাভ করছে এই ভাইরাসের। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পজেটিভ ধরা পড়ার পর লকডাউনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বলেছে- জ্বর, যার প্রকৃতি এখনও শনাক্ত করা যায়নি, তা বিস্ফোরকের মতো এপ্রিলের শেষের দিকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে কমপক্ষে ৬ জন মারা গেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স, কেসিএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন