যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে গুলি চালিয়ে দশ জনকে হত্যাকারীকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই যুবকের কাছে একটি তালিকা মিলেছে যেখানে সে তার শত্রু উল্লেখ করে হত্যা করতে চেয়েছে। মিররের খবরে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বন্দুকধারী পেটন গেনড্রন লন্ডনের মুসলিম মেয়র সাদিক খানকে হত্যার আহ্বান জানায়। এছাড়া তার হাই-প্রোফাইল শত্রু তালিকায় রয়েছে হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান ধনকুবের জর্জ সোরোস এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। সাদিক খানের বিষয়ে বন্দুকধারীর বক্তব্য, ব্রিটেনে ব্রিটিশ জনগণ ভোটাধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা জাতিগতভাবে অন্যজাতির দ্বারা প্রতিস্থাপনের শিকার হচ্ছেন। এই পাকিস্তানী মুসলিম এখন লন্ডনের জনগণের প্রতিনিধি হয়ে বসে আছে। যেটি লন্ডিনিয়াম, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে। তাকে অপসারণের চেয়ে ভাল লক্ষণ আর কী হতে পারে? গত সপ্তাহে সাদিক খান পাঁচ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সেই সময়ে তাকে গেনড্রন হামলা করতে চেষ্টা করেছিলেন কি না তা জানতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী। গেনড্রন নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলোতে হামলার স্থানে দুই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে। শরীরের বর্ম পরে তিনি এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে এবং পরবর্তী সহিংসতা অনলাইনে লাইভ স্ট্রিম করে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। ১০ জন নিহত হয়। গেনড্রন পেনসিলভানিয়া সীমান্তের কাছাকাছি নিউইয়র্কের সাউদার্ন টায়ারের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, বর্ণবাদে উৎসাহী হয়ে পেটন এই হামলা চালায় সে। নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেন, হামলাকারী তার ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচার করে। যে প্ল্যাটফর্ম থেকে এটি সম্প্রচার করা হয়েছে, তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি হতাশ। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাফেলোর ঘটনাটিকে ‘ঘৃণ্য’ কাজ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। মিরর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন