মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবকে ঘিরে ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২২, ১:২৯ পিএম

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মারা গেছেন ৩০০ বছরেরও বেশি সময় আগে, কিন্তু তাকে নিয়ে ভারতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তপ্ত বিতর্ক চলছে। আওরঙ্গজেবকে বলা হয় ‘সর্বশেষ কার্যকর মুঘল সম্রাট’, যিনি ভারতকে ১৬৫৮ থেকে ১৭০৭ এই অর্ধ-শতাব্দী কাল ধরে শাসন করেছেন।

তবে তিনি ইতিহাসবিদদের কাছে কখনোই খুব একটা প্রিয় ছিলেন না। প্রথমত তিনি তার পিতাকে বন্দী করে এবং নিজের বড় ভাইকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেছিলেন। অন্যান্য মুঘল শাসকদের তুলনায় তার খুব একটা সুনাম ছিল না - তার প্রপিতামহ আকবরকে দেখা হয় একজন ধর্মনিরপেক্ষ শাসক হিসেবে, তার দাদা জাহাঙ্গীর শিল্প-সাহিত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে পরিচিত ছিলেন এবং পিতা শাহজাহান ছিলেন একজন রোমান্টিক শাসক যিনি তার স্ত্রীর নামে তাজমহল নির্মাণ করেছেন।

কিন্তু ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাকে প্রায়শই একজন নিষ্ঠুর শাসক হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তিনি ছিলেন সাম্রাজ্য বিস্তারকারী। তিনি কঠোর শরিয়া আইন চালু করেছিলেন। হিন্দুদের জন্য ফিরিয়ে এনেছিলেন বৈষম্যমূলক জিজিয়া কর যা তাদেরকে তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রদান করতে হতো। বলা হয়ে থাকে যে তিনি সঙ্গীতসহ অন্যান্য শিল্পকলাকে ঘৃণা করতেন এবং তিনি বেশ কয়েকটি মন্দির ধ্বংস করে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এসবই ঘটেছে কয়েকশ বছর আগে। কিন্তু সম্প্রতি তার প্রতি যে ধরনের ঘৃণা দেখা যাচ্ছে সেটা নজিরবিহীন। হিন্দুদের পবিত্র শহর বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মধ্য দিয়ে এটা শুরু হয়। বিশ্বনাথ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। আওরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৬৯ সালে ষোড়শ শতাব্দীর এই হিন্দু মন্দিরটি ধ্বংস করা হয়। এখন সোশাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আওরঙ্গজেবের জন্য মর্যাদাহানিকর হাজার হাজার রেফারেন্স, আদালতের ফাইলেও এসব পাওয়া যাচ্ছে এবং ভারতের বর্তমান হিন্দু জাতীয়তাবাদী শাসকরাও এসব বক্তব্য তুলে ধরছেন।

ডিসেম্বর মাসে বারাণসীতে এক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি "আওরঙ্গজেবের নৃশংসতা এবং সন্ত্রাসের" বিষয়ে কথা বলেছেন। "তিনি তরবারির সাহায্যে সভ্যতা বদলানোর চেষ্টা করেছেন। গোঁড়ামির মাধ্যমে তিনি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চেষ্টা করেছেন," বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গত মাসেও শিখ গুরু তেগ বাহাদুরের ৪০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই মুঘল সম্রাটের নাম উল্লেখ করেছেন। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করলে তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "যদিও আওরঙ্গজেব অনেক মস্তক বিচ্ছিন্ন করেছেন, তিনি আমাদের বিশ্বাসে নাড়া দিতে পারেন নি।" তার এই মন্তব্যে ধাঁধায় পড়ে গিয়েছিলেন একজন কানাডীয়-আমেরিকান সাংবাদিক যিনি টুইটারে প্রশ্ন তুলেছিলেন "ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কেন ৩০০+ বছর আগে মারা যাওয়া একজন মুঘল সম্রাটকে আক্রমণ করে লম্বা বক্তৃতা দিচ্ছেন?"

বেশ কয়েকটি টুইটের মাধ্যমে ঐতিহাসিক অড্রে ট্রাশকি এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা বিশ্বাস করে যে "মুসলিমরা শত শত বছর ধরে হিন্দুদের পীড়িত করেছে, এবং একারণে আজকের দিনে অতীতের উচিত শাস্তি হিসেবে তাদেরও পীড়িত হতে হবে।" তিনি বলেন, "বর্তমান কালের মুসলিমদের ঘৃণা করা এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য এই ইঙ্গিত দিতেই আওরঙ্গজেবের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।"

টুইটারে এই আলোচনার পর আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে আরো অনেক ঘৃণা জমা হয়েছে। আগ্রা শহরের মেয়র তাকে একজন "কসাই" হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন সব জায়গা থেকে তার চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে। টুইটারে মুঘল এই সম্রাটকে উল্লেখ করা হয়েছে "একজন দখলদার" হিসেবে যিনি হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চেয়েছিলেন। একজন টুইটার ব্যবহারকারী এও বলেছেন হিন্দুদের পূজা করার জায়গায় মুঘলরা যেসব স্মৃতিস্তম্ভ এবং ভবন নির্মাণ করেছে সেগুলো বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলতে হবে।

ভারতের একজন আঞ্চলিক রাজনীতিবিদ আওরঙ্গজেবের সমাধির "অস্তিত্ব ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার" বিষয়ে প্রশ্ন তোলার পর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে তার সমাধিস্থল দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই নেতা আওরঙ্গজেবের সমাধি ধ্বংস করে ফেলারও আহবান জানিয়েছেন। ইতিহাসবিদ, লেখক এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাদিম রেজাভি বলেছেন, ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘু যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিন্দু জনরোষে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, তাদেরকে খারাপ হিসেবে তুলে ধরতে আওরঙ্গজেব "একটি সুবিধাজনক নামে" পরিণত হয়েছে।

অধ্যাপক রেজাভি বলেন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বেশ কিছু হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছিলেন এবং হিন্দুদের ওপর বৈষম্যমূলক কর আরোপ করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি ছিলেন জটিল একজন ব্যক্তি এবং তিনি পুরোপুরি শয়তান ছিলেন না। "হিন্দু মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণে অনুদান দিয়েছেন, তার রক্তের দিক থেকেও তিনি নিজেও দুই-তৃতীয়াংশ হিন্দু ছিলেন কারণ তার প্রপিতামহ আকবর একজন রাজপুতকে (একটি হিন্দু সম্প্রদায়) বিয়ে করেছিলেন এবং তার শাসনামলে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের মধ্যে আরো অনেক রাজপুত ছিলেন," বলেন তিনি।

অধ্যাপক রেজাভি বলেন আওরঙ্গজেব তার ব্যক্তিগত জীবনে মৌলবাদী ছিলেন না, যদিও এই ধারণাটি জনপ্রিয়, এবং "তিনি মদ্যপান উপভোগ করতেন, বীণা বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন এবং অন্য যে কোন মুঘল শাসকের সময়ের তুলনায় তার অধীনেই সঙ্গীতের ওপর অনেক বেশি বই রচিত হয়েছে।" তবে তিনি বলেন "রাজনৈতিক ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে এবং কর্তৃত্ব জোরালো করতে আওরঙ্গজেব ধর্মের আশ্রয় নিয়েছেন- যা অনেকটাই বর্তমান সময়ের ভারতীয় নেতাদের মতো।

"তবে প্রশ্ন হচ্ছে আওরঙ্গজেব যদি খারাপ ও দুষ্ট প্রকৃতির হন, একজন সাম্প্রদায়িক এবং মৌলবাদী, যিনি মন্দির ধ্বংস করেছেন, আজকের দিনে কি আমাদেরকে তাকেও ছাড়িয়ে যেতে হবে?" "তিনি একজন স্বৈরশাসক এবং সম্রাট ছিলেন যিনি ৩০০ বছর আগে বেঁচে ছিলেন। সেসময় আধুনিক গণতন্ত্র ছিল না, তাকে পরিচালনার জন্য কোন সংবিধান ছিল না। কিন্তু এখন আমাদের ভারতীয় সংবিধান আছে এবং পার্লামেন্টের আইন আছে, তাহলে যেসব কাজ ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে করা হয়েছে সেগুলো এখন আমরা কিভাবে পুনরাবৃত্তি করতে পারি?" প্রশ্ন করেন ড. রেজাভি।

"সুতরাং কেউ যদি সপ্তদশ শতাব্দীর রাজনীতিকে আশকারা দেয়, তাহলে আওরঙ্গজেব সপ্তদশ শতাব্দীতে যেসব অপরাধ করেছিলেন, তারা এর চেয়েও আরো বড় অপরাধ করছে," বলেন তিনি। সূত্র: বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Md basit ২৩ মে, ২০২২, ২:০৭ পিএম says : 0
গাজঅয়াতুল হিন্দ ভারত থেকেই সূচনা হবে, তার আগে হিন্দু মুসলমান বিদ্বেষ চরম হবে।
Total Reply(0)
abir ২৩ মে, ২০২২, ৭:১৮ পিএম says : 0
এই আর্টিকেলটাই তো বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এমনভাবে লিখেছে যাতে মুসলমানরাও খুব একটা অসুন্তষ্ট না হয় আর পশ্চিমবাংলার বিজেপি-আরএসএসের সদস্য ও সমভাবাপন্নরাও তাদের ঘৃণার উপকরণ পায়। এই বিবিসি ওয়ালারা কখনোই আওরঙ্গজেবকে পছন্দ করে না। তিনি একজন ভালো মুসলিম শাসক ছিলেন সেজন্য তাঁর নামে অপবাদ দেয়ার চেষ্টায় সর্বদা লিপ্ত থাকে। সে তারঁ দাদার বাবা আকবরের মত ইসলাম ধর্মের বিরোধী ছিলেন না এটাই তাদের মূল সমস্যার কারণ। এই বিবিসির সাংবাদিকরা (সম্পাদকসহ) সবসময়ই ইসলামের বিভিন্ন হুকুম সম্পর্কিত বিষয়ে খোঁচামারা প্রতিবেদন করে। আর ইনকিলাব সেটাই কোনো যাচাই বাছাই ছাড়াই ছাপিয়ে দেয়।
Total Reply(0)
Mizan ২৩ মে, ২০২২, ৩:০৬ পিএম says : 0
Present time is the most important for India! Never forget this! Never Forget " Satidaho "
Total Reply(0)
Unnamed user ২৩ মে, ২০২২, ৯:১০ পিএম says : 0
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে মুসলমানদের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা, ভারতীয় ইতিহাসবিদ ও মিডিয়া ধামাচাপা দিচ্ছে । ইতিহাস বিকৃতির শিখরে ভারতীয় বুদ্ধিজীবিরা । তাদের এদেশীয় দোসররাও প্রতি মূহুর্তে ইতিহাস বিকৃতি করে চলেছে । সম্রাট শাজাহানের সময় রাজপরিবারের আশীর্বাদপুষ্ট শ্রেণী জনগনের রক্ত শোষণ করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছিল, যাদের ভিতর হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরাই ছিল, তারাই শিক্ষিত ছিল, ইতিহাসের লেখক তারাই । আওরঙ্গজীব এদের সম্পদ সাধারণ জনগনের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই জন্যই ওইসব ইতিহাসবিদদের লিখিত ইতিহাসে তিনি খলনায়ক হিসেবে চিত্রিত হয়েছেন । ব্যাপক জনসমর্থনের কারণেই তিনি ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিলেন । তিনি তাজমহলকে মাটিতে গুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কারণ তাজমহল জনগণকে ব্যাপক শোষন, নির্যাতনের মাধ্যমে তৈরী করা হয়েছিল, এটা সম্রাট শাজাহানের মহান নয় কলংকজনক কীর্তি । ভারতের তস্কর রাজনীতিবিদরা এটাকেই এখন পুঁজি করেছে । ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কখনও সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়না, এটা রাজনীতিবিদদের নোংরা খেলা ।
Total Reply(0)
Sahid Anowar Sekh ২৩ মে, ২০২২, ১১:৫৯ পিএম says : 0
যুদ্ধের সূচনা ভারত থেকে হবে। ইনসাল্লাহ মুসলমান জয়ী হবে।
Total Reply(0)
Sahid Anowar Sekh ২৩ মে, ২০২২, ১১:৫৯ পিএম says : 0
যুদ্ধের সূচনা ভারত থেকে হবে
Total Reply(0)
TAJUL PATHAN ২৫ মে, ২০২২, ১১:৫৭ এএম says : 0
ইংরেজদের তৈরি ভুল ইতিহাস মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে গেছে আওরঙ্গজেবের আমলে মুসলমানদের ট্যাক্স দিতে হতো প্রায়ই 14 টি যেমন ফেতরা এবছরও প্রতিটি মুসলমানকে দিতে হয়েছে 50 টাকা করে পঞ্চায়েত বা পৌরসভায় বসবাস করলে যেমন একটা বছরে ট্যাক্স দিতে হয় সেইরকম তখন একটা ট্যাক্স দিতে হতো হিন্দুদের যার নাম জিজিয়া নারী শিশু বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী গরিব যারা পুলিশের সৈনিক ছিল তাদের দিতে হতো না বাকিদের দিতে হতো বেইমান ইংরেজিটা ইতিহাসে যদি এইটুকু লিখতেন মুসলমানদের ট্যাক্স দিতে হয় চৌদ্দটা হিন্দুদের দিতে হয় একটি জিজিয়া তাহলে এই গোলমাল আজ হত না তিনি বাবাকে বন্দী করেন নি বৃদ্ধ বয়সে বিশ্রাম নিতে বলেছেন যদি করেছিলেন তাহলে সেই জেলখানা টার নাম কি একটিমাত্র মন্দির ভেঙে ছিলেন তিনি তরবারি দিয়ে কাউকে মুসলমান করেননি তার আমলে হিন্দু কর্মচারী সবচেয়ে বেশি ছিল এবং তার আমলে একটি হিন্দুদের সংখ্যা কমে গিয়েছিল এরকম কোন প্রমাণ নেই তিনি যদি মন্দির ভাংতে তাহলে আজ ভারতবর্ষে এত মন্দির দেখা যেত না তার উন্নতি কত হয়েছিল গুগল ক্রোমে গিয়ে সার্চ করুন কিছুটা দেখতে পাবেন বিস্তারিত জানার জন্য চেপে রাখা ইতিহাস কিংবা এ সত্য গোপন কেন বইটি পড়ে দেখবেন
Total Reply(2)
মনু ২৮ মে, ২০২২, ৮:৪৭ পিএম says : 0
আপনি ঠিক বলসেন।বিবিসি হচ্ছে মুসলিম বিদ্বেষী পত্রিকা।আর এই উগ্র ভারতি হিন্দুরা মাইর খাওয়ার আগ পর্যন্ত লাফাইতে থাকবে।
মনু ২৮ মে, ২০২২, ১০:৫৬ পিএম says : 0
Mohsin Ahmad ২৬ মে, ২০২২, ৮:০১ পিএম says : 0
(এই আর্টিকেলটাই তো বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এমনভাবে লিখেছে যাতে মুসলমানরাও খুব একটা অসুন্তষ্ট না হয় আর পশ্চিমবাংলার বিজেপি-আরএসএসের সদস্য ও সমভাবাপন্নরাও তাদের ঘৃণার উপকরণ পায়। এই বিবিসি ওয়ালারা কখনোই আওরঙ্গজেবকে পছন্দ করে না। এই বিবিসির সাংবাদিকরা (সম্পাদকসহ) সবসময়ই ইসলামের বিভিন্ন হুকুম সম্পর্কিত বিষয়ে খোঁচামারা প্রতিবেদন করে। আর ইনকিলাব সেটাই কোনো যাচাই বাছাই ছাড়াই ছাপিয়ে দেয়।)
Total Reply(0)
edi ২৮ মে, ২০২২, ৮:৫১ পিএম says : 0
আওরাংজেব সবচেয়ে ধার্মিক মুসলিম ছিলেন এবং সবচেয়ে শক্তিশালী মুঘল সম্রাট ছিলেন।তাঁর আমলে হিদু রাজপুতরা প্রচুর মাইর খায় তাঁর কাসে,এর জন্য তাঁর উপরে হিদুদের এত রাগ।তার সময় মুঘল সম্রাজ্জ সবচেয়ে বরো আকার ধারন করে।
Total Reply(0)
edi ২৮ মে, ২০২২, ৮:৫২ পিএম says : 0
ইঙ্কিলাবের লাইক বাটন কি নষ্ট হয়ে গেছে?লাইক দেয়া যায় না কেন?
Total Reply(0)
md shahid rahman ২৯ মে, ২০২২, ১১:২৭ এএম says : 0
he is a great leader
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন