সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বালাজি মন্দির কমপ্লেক্সে গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। সেই আয়োজনে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআইয়ের নেতা নৈতিক চৌধুরী। সরকারি সুবিধা পেতে সেখানে তিনি নিজের স্ত্রীকেই আবার বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন, দাবি বিজেপির।
জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের পক্ষে শিবরাজ সিং চৌহানের প্রশাসন ‘কন্যাদান যোজনা’ চালু করেছে। সম্প্রতি মন্দির কমপ্লেক্সে আয়োজন করা গণবিয়ের অনুষ্ঠানে কন্যাদান যোজনা স্কিমের আওতায় অনেকেই বিয়ে সারেন, পান সরকারি ভাতাও। ১৫ দিনে আগেই বিয়ে করা নৈতিককে গণবিয়ের আসরে দেখে অনেকেরই সন্দেহ হয়। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে অবশ্য ছেড়েও দেয়। এর আগে অবশ্য জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সাক্ষী রেখে সাত পাক ঘুরে মালাবদলের তোড়জোড়ও শুরু করেন, কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ায় তা আর পারেননি। বিষয়টি নিয়ে একচুলও ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি।
এ ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিজেপি অভিযোগ এনেছে। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ লোকেন্দ্র পরাশর একটি টুইটে দাবি করেন, নৈতিক চৌধুরী সরকারের বিয়ে যোজনার টাকা পেতেই দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন। তবে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় তিনি বিয়ে করতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে লোকেন্দ্র পরাশরের টুইটের টার্গেটে ছিলেন কংগ্রেসনেতা কমল নাথ। প্রশ্ন ওঠে, নৈতিক চৌধুরীর এ কেমন অনৈতিক প্রচেষ্টা?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন