ব্রাজিলের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। রবিবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, শতাধিক মানুষ নিখোঁজ কিংবা মারা গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এনিয়ে বিগত পাঁচ মাসে দেশটিতে চার বার বড় ধরনের বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন বন্যার কারণে ব্রাজিলের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্থাপিত শহরগুলোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব শহর প্রায়ই পাহাড়ের ধারে তৈরি করা হয়েছে যা ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশটিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টি চক্র আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হতে পারে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। জরুরী ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ফেডারেল সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের এক টুইট অনুযায়ী রবিবার বিকেল পর্যন্ত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পারনামবুকোতে ৫৬ জন এবং প্রতিবেশি রাজ্য আলাগোসে আরও একজন মারা গেছেন। পারনামবুকোতে আরও ৫৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ফেডারেল সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, এই দুটি রাজ্যের মধ্যে সরকার-নির্ধারিত ত্রাণ বিতরণ পয়েন্টে পৌঁছেছে ছয় হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া আরও প্রায় সাত হাজারের বেশি মানুষ বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে অবস্থান করছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন সোমবার সকালে তিনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত পারনামবুকোর রাজধানী রেসিফে পৌঁছাবেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সরকার শুরু থেকেই, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনীসহ সব উপায় ব্যবহার করেছে।’ ডিসেম্বরের শেষের দিকে এবং জানুয়ারির শুরুতে, উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলে অবস্থিত বাহিয়া রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েক ডজন মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত হয়। জানুয়ারিতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সাও পাওলোতে বন্যায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ফেব্রুয়ারিতে, রিও ডি জেনিরো রাজ্যে প্রবল বর্ষণে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন