ফাইটোস্যানিটারি উদ্বেগের কারণে একটি ভারতীয় গমের চালানের অনুমতি তুর্কি কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখ্যান করে ২৯ মে জাহাজটিকে তার ফিরতি যাত্রা শুরু করার অনুরোধ জানায়। এসএন্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতিতে একথা জানিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে, কারণ কমপক্ষে ১৫ লাখ টন গম রফতানির কথা রয়েছে।
ট্র্যাকার কেপলারের শিপিং ডেটা উদ্ধৃত করে এসএন্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের একটি আপডেটে জানা গেছে, ৫৬ হাজার ৮৭৭ টন ডুরুম গম বোঝাই এমভি ইনস একাডেনিজ এখন তুরস্ক থেকে কান্ডলা বন্দরের দিকে যাচ্ছে।
এসএন্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস ইস্তাম্বুল-ভিত্তিক ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘গমের চালানটিতে ভারতীয় রুবেলা রোগ শনাক্ত হয়েছিল এবং তুরস্কের কৃষি ও বন মন্ত্রণালয় এটি প্রত্যাখ্যান করেছে’। ভারতের বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় মন্তব্য চেয়ে করা প্রশ্নের জবাব দেয়নি। ভারত বেসরকারি গম রফতানি নিষিদ্ধ করার আগেই এসব চালান চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
এপ্রিল মাসে, এশিয়ার তৃতীয়-বৃহৎ অর্থনীতিতে ভোক্তা-মুদ্রাস্ফীতি রিডিং ৭.৭৯% এ আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে। উদ্বেগজনকভাবে, খাদ্যের দাম ৮.৩৮% বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি গমের মতো উদ্বৃত্ত পণ্যেও ভূমিকা পালন করেছে, যার দাম গত মাসে ২০ বেড়েছে, কারণ ব্যবসায়ীরা রফতানি দ্বিগুণ করেছে।
প্রচণ্ড গ্রীষ্মের কারণে গমের উৎপাদন আগের ফেব্রুয়ারিতে করা ১১১.৩২ টন পূর্বাভাসের বিপরীতে ৩ শতাংশ কমে ১০৬ মিলিয়ন টন হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়ার পরে ভারত বিদেশে বিক্রয় স্থগিত করেছে।
ট্রেডিং ফার্ম কমট্রেডের অভিষেক আগরওয়াল বলেছেন, ভারতীয় রুবেলা উদ্ভিদ রোগের উপস্থিতি যে কোনো আমদানিকারক দেশের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হবে, তবে ভারতীয় গমের ক্ষেত্রে এটি একটি বিরল উদাহরণ। ব্যবসায়ীরা স্পষ্টতই চিন্তিত’।
ভারত গমের বড় রফতানিকারক না হলেও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী ঘাটতি পূরণের জন্য বেশ কয়েকটি দেশ তার সরবরাহের উপর নির্ভর করছে। ২০২২ সালের মার্চে শেষ হওয়া বছরে রফতানিকারকরা রেকর্ড ৭০ লাখ টন প্রেরণ করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট ভারতের জন্য প্রচুর পরিমাণে গম রফতানির দরজা খুলে দিয়ে, কারণ বিশ্বব্যাপী দাম অভ্যন্তরীণ ফ্লোরের দামের ওপরে বেড়ে গিয়েছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন