শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বছরে বাস্তুচ্যুত হতে পারে ২০ কোটি মানুষ : গুতেরেস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ আবহাওয়া ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, যাদের আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত প্রভাব যেমন প্রবল তাপ, বন্যা ও ক্ষরায় মৃত্যুর ঝুঁকি ১৫ গুণ বেশি। প্যারিস আবহাওয়া চুক্তিতে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। ২০৫০ সাল নাগাদ আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত ঘটনায় প্রতি বছর ২০ কোটিরও বেশি মানুষের বাস্তুচ্যূত হতে পারে। রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেছেন, এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের পৃথিবী একটিই’, যা বাস্তবতার একটি সহজ কথা। এই গ্রহটা আমাদের একমাত্র আবাস। কাজেই এর বায়ুমণ্ডলের স্বাস্থ্য, পৃথিবীর বুকে যে প্রচুর জীবন ও তার বৈচিত্র্য, এই গ্রহের বাস্তুতন্ত্র এবং এর সীমিত সম্পদ রক্ষা করা আমাদের জন্য জরুরি। কিন্তু তা করতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। টেকসই নয় এমন জীবন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে আমরা এই গ্রহ থেকে অনেক বেশি আকাক্সক্ষা করছি। পৃথিবীর প্রাকৃতিক ব্যবস্থা আমাদের চাহিদা মিটিয়ে যেতে সক্ষম নয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এটি কেবল পৃথিবীকে আহতই করছে না, আমাদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ মানুষ এবং ১৭টি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট্যের সবগুলোর জন্যই জরুরি। প্রকৃতি আমাদের খাবার, নিরাপদ পানি, ওষুধ নিশ্চিত করে, আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং চরম আবহাওয়া থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়। কাজেই সুবিবেচনার মাধ্যমে প্রকৃতি ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতির সেবাগুলো সবার, বিশেষত ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী ও সমাজের, সমহারে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা আমাদের জন্য জরুরি। তিনি বলেন, ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষয়িষ্ণু বাস্তুতন্ত্রের কারণে ক্ষতির শিকার। দুষণের কারণে প্রতি বছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটছে। ১০ লাখের বেশি উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে, যার অনেকগুলো খুব বেশি হলে আর মাত্র কয়েক দশক টিকতে পারবে। ৫০ বছর আগে বিশ্বের নেতারা জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলনে একত্রিত হয়ে এই গ্রহটাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা আজ পর্যন্ত সফল হতে পারিনি। প্রতিদিনই যে সতর্ক ঘণ্টা বেজে চলেছে, তা আর আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। সাম্প্রতিক স্টকহোম+৫০ পরিবেশ বৈঠকে সবাই একমত হয়েছেন যে ১৭টি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট্যের সবগুলোই একটি স্বাস্থ্যকর গ্রহের ওপর নির্ভরশীল। আবহাওয়া পরিবর্তন, দূষণ আর জীববৈচিত্র্য হারানোর ত্রিমাত্রিক সংকটের কারণে যে দুর্যোগ ঘনিয়ে আসছে, সেই দুর্যোগ এড়াতে আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন