হুহু করে বাড়তে থাকা খাদ্যপণ্যের দাম গেল দুই মাস ধরে একটু একটু করে কমছে। এমনই তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির বিশ্ববাজারে এই তথ্য কিছুটা স্বস্তি দিলেও, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা জাগিয়ে রাখছে আশঙ্কা। এ অবস্থায় খাদ্যপণ্য আমদানিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশল কাজে লাগানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে যখন স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরছিল বিশ্ব, তখন বিশ্ববাজারকে আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতেই বাড়তে থাকে খাদ্যপণ্যের দাম। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে।
তবে লাগামহীন মূল্যস্ফীতির বিশ্ববাজারে কিছুটা স্বস্তির যোগান দিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। মোটের ওপর খাদ্যপণ্যের দাম এপ্রিলে কমার পর মে মাসেও দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এছাড়া দাম কমার তালিকায় রয়েছে- পাম তেল, সানফ্লাওয়ার, সয়া ও রাইসরিষার তেল, চিনি ও দুগ্ধ জাতীয় পণ্য। তারপরও অনিশ্চিত আগামী। তাই বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের চাহিদা পূরণে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
এবিষয়ে অর্থনীতিবিদ প্রফেসর এম আবু ইউসুফ বলেন, অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি না ঘটিয়ে কীভাবে একটি সফল সমাধান করা যায়, কীভাবে আমাদের সাপ্লাই চেইনটি ঠিক রেখে আমরা উপকৃত হতে পারি, সেটিইতো কূটনৈতিক সফলতার একটি বিষয়।
সার্বিকভাবে খাদ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী হলেও মে মাসে দানাদার খাদ্যশস্যের দাম ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। যা এক বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। চার মাস ধরে বাড়তে থাকা গমের দাম মে মাসে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। এই খাদ্যশস্যের দাম এক বছরে ৫৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে গোশতের দামও। এখানেই শঙ্কার কথা জানিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়া ও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়া পর্যন্ত বিশ্ববাজারে স্বস্তি ফিরবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন