ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন ১১ বছর বয়সী এক বালিকা। তার মা বিষয়টি টের পেয়ে মামলা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে গর্ভপাত করাতে চাইলেও আদালত সেটাতে রাজি হননি। বিচারক জোয়ানা রিবেইরো জিমার ওই বালিকাকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়ে গেছে ব্রাজিলের শান্তা কাতারিনা রাজ্যে। আদালতের পাশাপাশি ডাক্তাররাও ওই বালিকাকে গর্ভপাত করাতে রাজি হননি। কারণ, ইতোমধ্যে তার ২২ সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। গর্ভপাত করাতে হলে অবশ্যই ২০ সপ্তাহের মধ্যে আসতে হয়। এরপরে হলে নানা জটিলতায় জীবনের ঝুঁকি থাকে। ব্রাজিলের আইনে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। তবে ধর্ষণের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। তাছাড়া গর্ভপাতে যদি জীবনের ঝুঁকি থাকে তাহলে অনেক সময় সেটা করা হয় না। এদিকে গণমাধ্যমে এই ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ৩০ হাজার দম্পতি ধর্ষণের শিকার বালিকার সন্তানকে দত্তক নিতে আবেদন করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন বিচারক। এমনকি তিনি ওই কিশোরীকে অনুরোধ করেছেন তার অনাগত সন্তানের জন্য একটি সুন্দর নাম ঠিক করতে। নিউ ইয়র্ক টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন