জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রকল্প অনুযায়ী ২০২৩ সালে ২০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয়ের জন্য অন্যান্য দেশে পুনর্বাসন করতে হবে, যা এই বছরের ১ লাখ ৪৭ হাজারের তুলনায় ৩৬ ভাগ বেশি। বিশ্বের ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি শরণার্থীর সবাই যুদ্ধ, সহিংসতা, সংঘাত বা নিপীড়ন থেকে পালিয়ে গেছে এবং তাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন। তবে কিছু শরণার্থী বিশেষভাবে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এর মধ্যে এমনও রয়েছে যারা তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে না, প্রতিবেশী দেশে নিরাপদে বসবাস করতে পারে না বা বিশেষ চাহিদা এবং অক্ষমতা রয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক মুখপাত্র শাবিয়া মান্টু বলেছেন, পুনর্বাসন হলো কিছু শরণার্থীকে রক্ষা করার জন্য একটি জীবন রক্ষাকারী হাতিয়ার, যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বা যাদের বিশেষ চাহিদা রয়েছে যা তাদের আশ্রয়ের দেশে পূরণ করা যায় না। তিনি বলেছেন, গত বছর পুনর্বাসনের জন্য ইউএনএইচসিআর দ্বারা জমা দেয়া সমস্ত শরণার্থীর মধ্যে ৩৭ ভাগ ছিল যাদের আইনি এবং শারীরিক সুরক্ষা প্রয়োজন, ৩২ ভাগ ছিল সহিংসতা অথবা নির্যাতন থেকে বেঁচে যাওয়া এবং ১৭ ভাগ ছিল নারী, কিশোরী এবং ঝুঁকির মুখে থাকা শিশু। ইউএনএইচসিআর রিপোর্ট করেছে, ২০২৩ সালে আশ্রয়প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়বে আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে, তার পরে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও তুরস্কে। মান্টু বলছেন, বিশ্বব্যাপী পুনর্বাসনের জন্য সিরিয়া সর্বাধিক প্রায় ৭ লাখ ৭৮ হাজার শরণার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে, তারপরে আফগানিস্তান, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান ও মিয়ানমার থেকে আসা উদ্বাস্তু, যারা কিনা ১ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা। তিনি বলছেন, বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে পরের বছর পুনর্বাসনের জন্য শরণার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে যাবে। ভয়েস অফ আমেরিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন