স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ছিল না। ছিল উন্নত যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ কার্ডিওলজিস্ট চিকিৎসকের অভাব। তবে সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ। বর্তমানে দেশে হৃদরোগ চিকিৎসা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গেছে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে বিশ্বের সঙ্গে আধুনিক চিকিৎসাবিষয়ক জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে জ্ঞানের আরও প্রসার ঘটিয়ে দেশে হৃদরোগের চিকিৎসাকে আরও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা তাদের। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিওভাস্কুলার ইন্টারভেনশন (বিএসসিআই) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সায়েন্টিফিক কনফারেন্সে তারা এ আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল প্রফেসর বিগ্রেডিয়ার (অব.) ডা. এম এ মালেক। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে আমরা চিকিৎসাসেবা দেয়া শুরু করেছিলাম। তখন আমাদের কিছুই ছিল না। দেশে কার্ডিওলজিস্ট ছিল না। কার্ডিওলজির সংশ্লিষ্ট পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ছিল না। বর্তমানে সে চিত্র বদলে গেছে। এখন আমরা কার্ডিওলজি চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে গেছি।
দেশে হৃদরোগ চিকিৎসার এ কাণ্ডারি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের ছেলে-মেয়েরা মেধাবী। পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে তারা এ খাতে অনেক ভালো করবে। এ জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তরুণ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে প্রফেসর ডা. হাসিনা বানু বলেন, আমাদের সময় ১০ থেকে ১২ জন কার্ডিওলজিস্ট ছিল। এখন ৪০০ জনের বেশি কার্ডিওলজিস্ট এ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন। আমাদের সময় মাত্র কয়েকটি ইসিজি মেশিন ছিল, আর এখন অলি-গলির হাসপাতালগুলোতেও তা রয়েছে। অর্থাৎ আপনাদের জন্য কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। এটিকে কাজে লাগাতে হবে।
কনফারেন্সে দেশ-বিদেশ থেকে আসা কার্ডিওলজিস্টরা অংশ নেন। এ সময় একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয় এবং দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় বিশেষ অবদান রাখা কিংবদন্তি চিকিৎসকদের সম্মাননা দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন