ভারতের মহারাষ্ট্রে এখন বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়করাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিক্ষুব্ধদের নেতা একনাথ শিন্ডের সাথে আটজন মন্ত্রীসহ অন্ততপক্ষে ৩৯ জন বিধায়ক আছেন। উদ্ধব ঠাকরের সাথে তিনজন মন্ত্রীসহ ১৫ জন বিধায়ক আছেন। সুপ্রিম কোর্টে যে ১৬৩ পাতার আবেদন করেছে শিন্ডে শিবির, সেখানেই সমর্থন প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। এরপরই শিন্ডেকে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। শিন্ডে শিবিরে থাকা বাকি আটজনকেও বরখাস্ত করেছেন তিনি। ফলে লড়াই এখন অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত। সংখ্যার দিক থেকে শিন্ডেরা যে এগিয়ে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু উদ্ধবরা শিন্ডেসহ ১৬ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করার জন্য ডেপুটি স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। মহারাষ্ট্রে স্পিকারের পদ খালি আছে। আগে কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলে স্পিকার ছিলেন। এখন তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পালন করার জন্য স্পিকারের পদ ছেড়েছেন। ফলে এখন ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে উদ্ধবরা দাবি করেছেন। এর বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে শিন্ডে শিবির। তাদের দাবি, তাদের কাছে সংখ্যা রয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার সেটাই করতে চাইছে। তাছাড়া তাদের প্রাণহানির সম্ভাবনা আছে বলেও বিক্ষুব্ধরা আবেদনে জানিয়েছেন। বিক্ষুব্ধদের হয়ে সওয়াল করছেন প্রবীণ ও খ্যাতনামা আইনজীবী হরিশ সালভে এবং উদ্ধবের হয়ে কংগ্রেস সাংসদ ও আইনজীবী অভিষেক মণু সিংভি। সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, তার উপর মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি অনেকাংশে নির্ভর করছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রথমেই শিন্ডের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, হাইকোর্টে না গিয়ে তারা কেন সর্বোচ্চ আদালতে এসেছেন। হরিশ সালভেদের জবাব ছিল, যেহেতু বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই তারা সোজা সুপ্রিম কোর্টেই এসেছেন। বিক্ষুব্ধদের সামনে তিনটি বিকল্প আছে। প্রথমত, তারাই যে আসল শিবসেনা সেটা প্রমাণ করা এবং দলের দখল নেয়া। দ্বিতীয়ত, নতুন দল গঠন করে বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করা। তৃতীয় বিকল্প হলো, বিজেপিতে মিশে যাওয়া। এখন তারা নিজেদের আসল শিবসেনা বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই স্বীকৃতি নির্বাচন কমিশন দেয়ার প্রক্রিয়াও লম্বা। ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন