ইংল্যান্ডের ফ্রান্সেস নোবেল নামে এক মহিলা টানা ১৩ বছর রোগশয্যায় ছিলেন। বয়স যখন ৫৩ তখন থেকেই তিনি রোগশয্যায় এবং উপার্জন ক্ষমতা ছিল না। ফলে সরকারি নিয়মে ইংলিশ কাউন্টি কাউন্সিলের স্বাস্থ্য খাত থেকে সংসার চালানো ও চিকিৎসা খরচের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য বরাদ্দ হয়।
তেরো বছরে সেই অর্থ সাহায্যের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি টাকা। সম্প্রতি জানা গেছে, ওই মহিলা অসুস্থতার ভান করে কাউন্সিলকে প্রতারণা করেছেন। তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা ঠুকে দেয় কাউন্টি কাউন্সিল। বিচারে আদালত মহিলাকে অপরাধী সাব্যস্ত করে ৪ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
৬৬ বছরের ফ্রান্সেস নোবেল কাউন্টি কাউন্সিলকে নিজের রোগশয্যার কথা জানিয়ে চিকিৎসা বিষয়ক যাবতীয় জাল নথিপত্র দাখিল করেন। নিয়ম মতো তার আবেদন গ্রহণ করে কাউন্সিল। প্রতি বছর মোটা টাকা অর্থ সাহায্য বরাদ্দ হয়। জালিয়াতি চলতে থাকে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত।
ওই বছরেই প্রথমবার কাউন্সিল খবর পায়, অর্থ চিকিৎসা বা সংসার খরচ নয়, বরং মহিলা বিলাসিতায় খরচ করছেন। সম্প্রতি ফ্রান্সেস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিলাসভ্রমণ। ইংল্যান্ডের একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, কাউন্সিলের স্বাস্থ্য প্যাকেজের টাকা মহিলা নিজে যেমন ওড়ান, তেমনি তার মেয়ে-জামাইও নিয়মিত বিলাসভ্রমণ করতেন। তারা ওই ১৩ বছরে ক্যানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকবার লম্বা ভ্রমণ করেন। এমনিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিক চলছিল।
কিন্তু একদিন ভোরে পোষ্য কুকুরকে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোনোই কাল হয় মহিলার। প্রতিবেশীরা দেখেন, তিনি গটগট করে হেঁটে যাচ্ছেন। সেই খবর পৌঁছায় কাউন্সিল সদস্যদের কানে। এরপর থেকেই তার দিকে নজর রাখা হচ্ছিল। তাতেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
ইতোমধ্যে মহিলা ইংল্যান্ডের আইনের নাগালের বাইরে চলে গেছেন। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে কাউন্টি কাউন্সিল মামলা করতেই তিনি জার্মানিতে পালিয়ে যান। বর্তমানে মেয়ে ও জামাইকে নিয়ে মহিলা জার্মানির বাসিন্দা। সূত্র : মিরর ইউকে, টাইম নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন