শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দিনের পর দিন কাটছে পেট্রল স্টেশনে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০৫ এএম

কোনো কাজে যখন লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়, সবাই চাইবেন সবার সামনে প্রথম জায়গাটি দখল করতে। আজিওয়ান সদাশিবম সেই জায়গাটি নিশ্চিত করতে পেরেছেন, কিন্তু তিনি জানেন না, কতক্ষণ তাকে সেখানেই আটকে থাকতে হবে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর একটি পেট্রোল স্টেশনের বাইরে ক্লান্তিকর এই অপেক্ষার সময় তিনি বলেন, দুই দিন পার হয়ে গেছে, তার গাড়ির কপালে তেল জোটেনি। বিবিসি লিখেছে, একজন ট্যাক্সি চালক হিসাবে সদাশিবমের কাছে পেট্রোল হল জীবন বাঁচানো রক্তের মত, কিন্তু শ্রীলঙ্কায় পেট্রোলের সরবরাহ বন্ধ। সদাশিবম তার গাড়ির ড্যাশবোর্ড দেখালেন, সেখানে পেট্রোল গজ দেখাচ্ছে শূন্যের ঘর। তিনি বললেন, “আমি গাড়িতেই ঘুমাচ্ছি। মাঝে মধ্যে বাইরে চলে যাই, খাবার খাই। তারপর আবার ফিরে এসে অপেক্ষা করি।... গত কয়েকদিন গোসলও করিনি।” সদাশিবম বলেছেন, অপেক্ষা করা ছাড়া তার আসলে আর কোনো উপায়ও নেই। “আমাকে আমার পরিবার, আমার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের দেখাশোনা করতে হয়...; তেল থাকলেই কেবল আমি আমার ক্যাব চালাতে পারব, আর তা হলেই কিছু আয় রোজগার করতে পারব।” গত দুই সপ্তাহে বিদেশ থেকে জ্বালানি তেলের কোনো চালান শ্রীলঙ্কায় পৌঁছায়নি। এই দ্বীপ দেশের যেখানে যা মজুদ বাকি আছে, তা পাঠানো হচ্ছে রাজধানীর জরুরি চাহিদা মেটাতে। এ অবস্থা চললে শ্রীলঙ্কার জ্বালানি মজুদ সদাশিবমের গাড়ির দশায় পৌঁছাতে বেশি দিন লাগবে না। তবে সদাশিবম আশাবাদী, তিনি শুনেছেন, শিগগিরই একটি জ্বালানির ট্যাঙ্কার পৌঁছাবে। সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে খালি পেট্রোল পাম্প পাহারা দিচ্ছেন, তার মধ্যেও তিনি আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। “এক সপ্তাহ লাগলেও আমাকে অপেক্ষা করতে হবে। এখান থেকে বের হলে আমাকে আবার অন্য কোথাও লাইন ধরতে হবে। সেটা যৌক্তিক কিছু হবে না।” এই পাম্পে সদাশিবমের গাড়ি দিয়ে যে লাইনের সূচনা হয়েছে, তা সড়কের পাশে সাপের মত এঁকেবেঁকে দুই কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে ধারে গিয়ে শেষ হয়েছে। ওই এক লাইনই শেষ হয়। পাশাপাশি মোট চারটি লাইন। একটি কারের জন্য, একটি বাস ও ট্রাকের জন্য, বাকি দুটি মোটরসাইকেল ও টুক-টুকের জন্য। বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন