গত দুই সপ্তাহে ইউরোপে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রধান ড. হ্যানস ক্লুগ এ তথ্য জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গত সপ্তাহে জাতিসংঘ জানিয়েছিল মাঙ্কিপক্সের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের যে হার তাতে এখনও বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার সময় আসেনি। তারপরও সংক্রমণ ঠেকাতে অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। ক্লুগ বলেছেন, ‘এই রোগের চলমান বিস্তারের দৌঁড়কে বিপরীত দিকে ঠেলে দিয়ে আমরা যদি এক মোড় ঘুরাতে চাই তাহলে জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ অপরিহার্য।’ ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৫১ টি দেশ থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণেল তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। ক্লুগ জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী মোট আক্রান্তের ৯০ শতাংশ ইউরোপে। এই অঞ্চলের ৩১টি দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইউরোপে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার রোধে ‘জরুরি’ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার এ আহ্বান জানানো হয়। সংস্থাটি বলছে, গত দুই সপ্তাহে ইউরোপে এ পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ বেড়ে গেছে। খবর এএফপির। ইউরোপ বিষয়ক ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স হেনরি ক্লাগ বলেন, ‘বর্তমানে এ রোগের বিস্তারের কেন্দ্রে রয়েছে ইউরোপ।’ তিনি বলেন, ‘ভৌগলিকভাবে কোনো একটি এলাকায় মাঙ্কিপক্স বেড়ে যাওয়া রোধে জোরদার পদক্ষেপ গ্রহণে বিভিন্ন দেশের সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতি আজ আমার আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি।’ হেনরি ক্লাগ বলেন, ‘এ রোগের বিস্তার এড়ানোর দৌড়ে আমাদের জিততে হলে এ ব্যাপারে জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ বাধ্যতামূলক।’ গত মে মাসের গোড়ার দিকে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোর বাইরে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ক্লাগ জানান, গবেষণাগারে নিশ্চিত করা বিশ্বব্যাপী সব আক্রান্তের ৯০ শতাংশ রোগি ইউরোপের বাসিন্দা। ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩১টি দেশে এ রোগের বিস্তার লক্ষ্য করা গেছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন