আফগানিস্তানের রাজধানীতে ইসলামিক ধর্মগুরু এবং উপজাতীয় প্রবীণদের একটি তিন দিনের সমাবেশ শনিবার তালেবানদের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেশটির তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কাবুলের বৈঠকটি আফগানিস্তানের ঐতিহ্যবাহী লোয়া জিরগাসের আদলে তৈরি করা হয়েছিল – যেটি হচ্ছে আফগান নীতি বিষয়ক ইস্যুগুলিকে সুচিন্তিত করার জন্য প্রবীণদের, নেতাদের এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়মিত কাউন্সিল। তবে অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগই ছিল তালেবান কর্মকর্তা এবং সমর্থক, বেশিরভাগই আলেও ও ওলামা। পূর্ববর্তী, মার্কিন-সমর্থিত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ লয়া জিরগা থেকে এটি ছিল ভিন্ন, যেখানে নারীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়নি।
সমাবেশে যোগদানকারী একজন আলেম মুজিব-উল রহমান আনসারির মতে, শেষে প্রকাশিত ১১-দফা বিবৃতিতে অঞ্চল ও বিশ্বের দেশগুলি, জাতিসংঘ, ইসলামিক সংস্থা এবং অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দিতে। তালেবান দখলদারিত্বের পর থেকে আরোপিত সমস্ত নিষেধাজ্ঞা অপসারণ করতে এবং বিদেশে খারিজ আফগান সম্পদ মুক্ত করার কথা বলা হযেছে।
আনসারি বলেছেন যে ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি আলেও, ওলামা এবং প্রবীণ যারা উপস্থিত ছিলেন তারা তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা এবং আধ্যাত্মিক প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার প্রতি তাদের সমর্থন এবং আনুগত্য পুনর্নবীকরণ করেছেন। সবচেয়ে চমকপ্রদ ছিল, স্বয়ং আখুন্দজাদা দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশে তার ঘাঁটি থেকে কাবুলে আসেন এবং শুক্রবার সমাবেশে ভাষণ দেন। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এটিই আফগান রাজধানীতে তার প্রথম সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় রেডিওতে পরিচালিত তার ঘণ্টাব্যাপী বক্তৃতায় আখুন্দজাদা তালেবানদের আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসাকে ‘মুসলিম বিশ্বের বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তার উপস্থিতি সমাবেশে প্রতীকী উচ্চতা যোগ করেছিল। আফগানিস্তানের মানবিক সঙ্কটের সাথে লড়াই করার কারণে তালেবানরা আরও অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। সূত্র: এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন