স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকলে খুনসুটি হবে না তাই কী হয়! কিন্তু করোনাভাইরাসের সময় লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছে ডিভোর্সের সংখ্যা? অন্তত এই পরিসংখ্যান দিচ্ছে গুগল। গত তিন বছরে করোনার জন্য সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। লকডাউনের সময় যখন নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন অনেকে তখন ডিভোর্সও হয়েছে বহু মানুষের।
লকডাউনে কোন দেশের মানুষের বেশি বিচ্ছেদ হয়েছে এই সময়ে? সম্প্রতি এই সম্পর্কিত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে উরাড়ৎপবঅহংবিৎং.পড়স। সেখানে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর সময় ডিভোর্স সম্পর্কিত প্রশ্ন হঠাৎই বেড়ে গিয়েছিল। লকডাউনের সময় ডিভোর্স নিয়ে প্রশ্নের ‘বন্যা আসে’। বহু বিবাহিত যুগলের মধ্যে সেই সময় মনোমালিন্য হচ্ছিল বলেই জানাচ্ছে এই পরিসংখ্যান।
কিন্তু, লকডাউনের সময় কেন এই ডিভোর্সের বন্যা? এই প্রসঙ্গে বিবাহ এবং পরিবার বিষয়ক থেরাপিস্ট বলেন, ‘একসঙ্গে এত সময় কাটানোর ফলে যদি অপর পার্টনারের কোনও বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কও থাকে তা প্রকাশ্যে এসে যেতে বাধ্য। ফলে সম্পর্কে আরও বেশি করে ফাটল ধরেছে। আর সেই সময়ই বেড়েছে বিচ্ছেদের আইনজীবীর খোঁজ।’
কোন কোন দেশগুলো লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ডিভোর্স আইনজীবীর জন্য গুগল সার্চ করেছে? এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সামনে এনেছে ওই সাইটটি। এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে নিউ জার্সি। সবচেয়ে বেশি বিবাহিত যুগলরা লকডাউনের সময় ডিভোর্সের জন্য সার্চ করেছেন।
এরপরই রয়েছে নিউ ইয়র্ক। তৃতীয় স্থানে টেনেসি, চতুর্থ জর্জিয়া, পঞ্চম ভার্জিনিয়া, ষষ্ঠ অ্যারিজোনা, সপ্তম ইলিনয়, অষ্টম নিভাদা, নবম রোড আইল্যান্ড এবং দশম স্থানে রয়েছে ফ্লোরিডা। সবথেকে কম ডিভোর্স আইনজীবীর জন্য সার্চ করেছে আলাস্কা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনা মহামারীর সময় টিকাকরণ, চাপের কারণেই হয়তো বিচ্ছেদের কথা ভেবেছিলেন। ইনস্টিটিউট অফ ফ্যামিলি স্টাডিসের রিপোর্ট বলছে, ৩৪ শতাংশ বিবাহিত মানুষরাই করোনা মহামারীর সময় সমস্যায় ভুগেছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন