ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। তবে ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই এমন বলা যাচ্ছে না। অনলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ঈদের নামাজে মোবাইল আনা বা না আনার বিষয়ে তিনি বলেন, যদি মোবাইল আনতেই হয় তাহলে মোবাইল ও টাকা পাঞ্জাবির পকেটে না রেখে হাতে রাখতে হবে। কারণ এক শ্রেণির মানুষ নামাজ পড়তে না এসে চুরির সুযোগ খোঁজে। এছাড়া ব্যাগসহ অন্য কিছু আনার সুযোগ থাকবে না। নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা আনতে পারবেন। তবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করে আসতে হবে।
ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাধারণত যে বিষয়গুলো বলে থাকি সেগুলো যদি মানুষ মেনে চলে, তাহলে তার জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়। যে যেখানেই যান আপনার মূল্যবান সম্পদের হেফাজত নিজ থেকে করবেন। যারা ঢাকা থেকে বাড়িতে যাবেন তাদেরকে বাসার গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র বিশেষ করে স্বর্ণ ও টাকা ব্যাংকের লকারে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, অনলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকার আশপাশ থেকে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে জঙ্গিরা সবসময় হামলার সুযোগ খোঁজে। আমরাও তৎপর আছি তাই পীর সাহেবদের মাজার এবং শিয়াদের ঈদগাহ গুলোতে বেশি নিরাপত্তা দেয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শপিংমল এবং স্বর্ণের দোকানের নিরাপত্তার জন্য গত ১৫ দিন আগে থেকেই মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীদের তথ্য নেয়া হয়েছে। যাতে অপরাধ করে কেউ পালিয়ে থাকতে না পারে। কারণ বিভিন্ন চুরির ঘটনার সঙ্গে অনেক নিরাপত্তা কর্মীদের যোগসাজশ থাকে।
গরুর বাজারের নিরাপত্তা সম্পর্কে বলেন, এখনও ভালো আছে। কোন ধরনের মলম পার্টি বা অজ্ঞান পার্টির ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। বাজারে পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছে। বাজারে বেশি হাসিল যেন ইজারাদাররা বেশি না নিতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে।
নাগরিকদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগে থেকেই ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জাতীয় ঈদগাহে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতে রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে। আপনারা যে যেখানে নামাজ পড়েন না কেন ডিএমপি সার্বক্ষণিক আপনাদের নিরাপত্তায় রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে ডিএমপি কমিশনার পুরো ঈদগাহ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন সোয়াট, ডগ স্কোয়াডসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন