ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বহাল থাকতে পারেন এমন সম্ভবনার মুখে ক্রমবর্ধমান বিদ্রোহ তৈরি হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। দেশটির তিনজন বিশিষ্ট ডানপন্থী নেতা টম টুগেনধাত, স্টিভ বেকার এবং সুয়েলা ব্রেভারম্যান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তাদের নিজস্ব প্রচারণা শুরুর সিদ্ধান্তের পর বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়তে শুরু করে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিজ্ঞান মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগকারী জর্জ ফ্রিম্যান বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রী অবশেষে শালীন কাজ করেছেন, তাকে অফিসের সিল হস্তান্তর করতে হবে, রানীর কাছে ক্ষমা চাইবেন, তাকে একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করার সুযোগ দেবেন, যার অধীনে মন্ত্রীরা কাজ করতে পারেন, যাতে কনজারভেটিভ পার্টি সঠিকভাবে নতুন নেতা নির্বাচন করতে পারে।’
টোরির কাছে লেখা একটি চিঠিতে স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডি বলেছেন, ‘তিন মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার প্রস্তাব তার মন্ত্রিসভা, তার সরকার এবং তার সংসদীয় দলের সমর্থন হারিয়েছে, এটি বিবেচনাহীন এবং অটেকসইকর হতে পারে।› লেবার নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার সতর্ক করেন যে, জনসনকে ডাউনিং স্ট্রিটে থাকতে দেওয়া উচিত নয় এবং তিনি যদি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন, তাহলে স্টারমার কমন্সে অনাস্থা ভোট ডাকবেন।
উত্তর পশ্চিম লিসেস্টারশায়ারের কনজারভেটিভ এমপি অ্যান্ড্রু ব্রিজেন বলেছেন, ‘আমি স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সাথে কথা বলেছি এবং তাকে যেখানেই সম্ভব নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি ছেঁটে ফেলার জন্য অনুরোধ করেছি। আমি মনে করি ছুটির আগে সদস্যপদ উপস্থাপনের জন্য আমাদের সংসদীয় দলের বাইরে দুজন প্রার্থী থাকবে। এবং এতে তিন বা চার সপ্তাহের বেশি লাগবে না। ফলে আগস্টের শেষের দিকে আমরা কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা পাব। তাই বরিস জনসনের অনুমান যে তিনি অক্টোবরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন তা অত্যন্ত ভুল।’ সূত্র: ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন