দুবাইয়ে পর্যটকদের প্রাণ জুড়ায় দৃষ্টিনন্দন অপূর্ব কোরআনিক পার্ক। মহিমান্বিত মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের নানা বিষ্ময়কর মহিমা নিয়ে দুবাইয়ের আল-খাওয়ানিজ এলাকায় ৬০ হেক্টর জমিতে ওয়ার্ল্ডের প্রথম গড়ে তোলা অনাবিল শান্তির এ পার্কটির স্পর্শ পেতে ঈদ বা অন্য কোনো ছুটি ছাড়াও প্রতিদিন ভিড় জমান দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থী।
দুবাই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি এমন একটি সেন্টার যার লক্ষ্য ইসলামের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষামূলক নানা বিষয়ে পুনরুজ্জীবিত করা। দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য কোরআনিক পার্কে তিনটি প্রধান অঞ্চল রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে উদ্যান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মিডিয়া সিটি। আল-কোরআনে উল্লেখিত ৫৪টি গাছের মধ্যে মাত্র কয়েকটি ছাড়া বাকি সব ক’টি গাছই স্থান পেয়েছে পার্কটিতে। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির গাছও রয়েছে পার্কটির নির্দিষ্ট স্থানে। পার্কের মাঝে রয়েছে হ্রদ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টানেল যেখানে আল-কোরআনের বিভিন্ন অলৌকিক ও বিস্ময়কর ঘটনা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।
অপরদিকে এ থিম পার্কটিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন প্রবেশ পথ, ইসলামী বাগান, প্রশাসনিক ভবন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা, ওমরাহ কর্ণার, আউটডোর, থিয়েটার, দর্শনার্থীদের জন্য আল-কোরআনের মহিমা প্রদর্শনের স্থান ও ফোয়ারা। এর পাশাপাশি আরো রয়েছে মরূদ্যান, পাম বাগান ও লেক।
এদিকে আল-কোরআনে উল্লেখিত দুর্লভ গাছসমূহ একই জায়গায় দেখতে পেয়ে খুবই খুশি পার্কে আসা দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি এমন বিরল ও অপূর্ব আয়োজনে কোরআনিক পার্ক করায় আমিরাত সরকার ও দুবাই প্রাদেশিক শাসককে মোবারকবাদ জানান তারা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চে এ কোরআনিক পার্কটি উন্মুক্ত করে দেয়ার পর প্রথম সপ্তাহেই লাখো দর্শনার্থীর ঢল নামে বলেও জানায় দুবাই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন