বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দূর মহাবিশ্বে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের প্রথম ছবি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২২, ৪:৫০ পিএম

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া মহাবিশ্বের প্রথম ছবিগুলি এর আগে দেখা যায়নি। নক্ষত্রখচিত মহাকাশের ছবি দেখে মুগ্ধ সকলেই। সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ প্রথম কী কী দেখল তা এখানে আলোচনা করা হলো।

সাদার্ন রিং নেবুলা হলো একটি গ্রহের নীহারিকা। এটি আসলে একটি মৃত নক্ষত্রকে ঘিরে রাখা বর্ধিত গ্যাসের মেঘ। এটির ব্যাস প্রায় অর্ধ আলোকবর্ষ এবং এর কেন্দ্রে অনুজ্জ্বল নক্ষত্রটি হাজার হাজার বছর ধরে চারদিকে গ্যাস এবং ধুলোর বলয় পাঠাচ্ছে। নক্ষত্রের জন্ম হয় নীহারিকাতেই।

যেখানে নক্ষত্রের জন্ম

ছবিতে যেটি দেখে আলো ঝলমল পাহাড়ের দৃশ্যের মতো মনে হচ্ছে তা আসলে ক্যারিনা নেবুলা থেকে একটি নতুন নক্ষত্র সৃষ্টির প্রান্ত। এটির নাম এনজিসি ৩৩২৪। ওয়েব টেলিস্কোপ চিত্রটি প্রথমবার নক্ষত্রের জন্মের নানা দিক তুলে ধরেছে, যা আগে কেউ দেখেনি।

এসএমএসিএস ০৭২৩ হলো গ্যালাক্সি ক্লাস্টার বা একগুচ্ছ ছায়াপথ। এগুলি ছায়াপথের পিছনে থাকা বস্তুর আলোকরশ্মি বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার আলো এদিক ওদিক ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতাও রয়েছে। দূরবর্তী নক্ষত্রগুলিকে এবং ক্ষীণ হয়ে আসা ছায়াপথগুলির গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।

স্টেফানস কিনটেট হলো পাঁচটি ছায়াপথের একটি দল। ওয়েব টেলিস্কোপের ছবিগুলিতে লাখ লাখ নতুন ঝকঝকে নক্ষত্রগুচ্ছ দেখা গিয়েছে। এছাড়া নতুন নক্ষত্রের জন্মের সময় "স্টারবার্স্ট" এলাকার ছবিও ধরা পড়েছে। বিভিন্ন ছায়াপথে "স্টারবার্স্ট" এলাকায় বিপুল হারে নক্ষত্র জন্মের প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

ডাব্লিউএএসপি-৯৬বি হলো পৃথিবীর সৌরজগতের বাইরে একটি বিশাল গ্রহ। ২০১৪ সালে এটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। এটি মূলত গ্যাস দিয়ে তৈরি, পৃথিবী থেকে প্রায় এক হাজার ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত (এক আলোকবর্ষ অর্থাত্ ৯.৪৬ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার)। গ্রহটির ভর বৃহস্পতির প্রায় অর্ধেক। প্রতি ৩.৪ দিন অন্তর এটি নিজের তারাকে প্রদক্ষিণ করে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন