কভিডজনিত স্থবিরতা কাটিয়ে চীনের বাণিজ্য পুনরুদ্ধার অব্যাহত। সাংহাইয়ের লকডাউনের পরে শিথিল হয়েছে সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতাও। চিরচেনা রূপে ফিরছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির রফতানি। যদিও আমদানি এখনো শ্লথ। সব মিলিয়ে দেশটির মাসভিত্তিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত জুনে ৯ হাজার ৭৯০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে মে মাসেও উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলার। খবর এপি। কাস্টমস ডাটা অনুসারে, জুনে চীনের রফতানি ৩৩ হাজার ১২০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। যদিও গত মাসে আমদানি মাত্র ১ শতাংশ বেড়ে ২৩ হাজার ৩৩৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আমদানির চিত্রটি চীনা অর্থনৈতিক দুর্বলতাকে তুলে ধরেছে। যেখানে এ সময়ে দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত এক বছর আগের তুলনায় ৯০ শতাংশ বেড়েছে। গত মাসে রুশ পণ্যের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। আমদানি পণ্যের বেশির ভাগই ছিল জ্বালানি তেল ও গ্যাস। বেইজিং ক্রেমলিনের প্রস্তাবিত মূল্যহ্রাসের সুযোগ নিয়ে জ্বালানি আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে। যখন ইউক্রেনে আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে মস্কোকে শাস্তি দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরগুলোর একটি সাংহাইয়ে পণ্য হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। কভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ার কারণে কর্তৃপক্ষ শহরটিতে লকডাউন আরোপ করায় কয়েক মাসের জন্য বাণিজ্য ধীর হয়ে পড়েছিল। যদিও অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, ওই ধাক্কা কয়েক মাস ধরে বিশ্বজুড়ে অনুভূত হবে। অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের জুলিয়ান ইভান্স-প্রিচার্ড একটি প্রতিবেদনে বলেন, শিপিং বাধাগুলো সহজ হওয়ায় রফতানি দৃঢ়ভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছে। তবে আমরা মনে করি, বিশ্বজুড়ে চাহিদা শীতল হওয়ার আগে এটি চীনের রফতানিতে শেষ উল্লম্ফন হতে পারে। দুর্বল আমদানি চাহিদা নির্মাণ খাতের মন্দাকে প্রতিফলিত করে। যদিও দেশটি বিদেশী আকরিক লোহা ও অন্য কাঁচামালের প্রধান গ্রাহক। এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন