শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জেদ্দা নিরাপত্তা সম্মেলন সমাপ্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০৪ এএম

যুক্তরাষ্ট্র ও আঞ্চলিক আশাবাদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জেদ্দা সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সামিট। শনিবার কিং আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে এর সমাপ্তি হয়। এতে সউদী আরব পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, দিনে এক কোটি ৩০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল উত্তোলনের কোনো রকম বাড়তি সক্ষমতা নেই তাদের। আধা ঘণ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উপসাগরীয় দেশসমূহের (জিসিসি), মিসর, জর্ডান, ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে যৌথ প্রচেষ্টার বিষয়ে জোর দেয়া হয়। সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সউদী আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বিন আল হুসেইন, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাদিমি, বাহরাইনের বাদশা হামাদ আল খলিফা, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ, ওমানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী আসাদ বিন তারিক বিন তৈমুর আল সাইদ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ। এই সম্মেলেনে সউদী আরবের ক্রাউন প্রিন্স বলেন, সউদী আরব তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দিনে এক কোটি ৩০ লাখ ব্যারেলে উন্নীত করেছে। এরপর আর উত্তোলন সক্ষমতা নেই তাদের। এ সময় তিনি আবহাওয়াুর পরিবর্তনের বিষয়ে আলোকপাত করেন। আস্তে আস্তে টেকসই জ্বালানি উৎসের দিকে ধাবিত হওয়ার জন্য ভারসাম্যপূর্ণ মানসিকতার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তার ভাষায়, আমরা আশা করি- যৌথ সহযোগিতার এক নতুন যুগ সৃষ্টি হবে এই সামিটে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গভীর হবে। তাতে আমাদের অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা হবে। তারা বিশ্বের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সমৃদ্ধ হবে। এ সময় তিনি সহযোগিতা করতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানান। আঞ্চলিক বিষয়ে তারা যেন হস্তক্ষেপ না করে সে আহ্বানও জানান সউদী আরবের ক্রাউন প্রিন্স। তার বক্তব্যের সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ক্রাউন প্রিন্সের বক্তব্য এটা নিশ্চিত করেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় এবং সংযুক্ত একজন অংশীদার হিসেবেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৮ জন প্রেসিডেন্ট সফর করেছেন সউদী আরবে। তার শেষ জন হলেন বাইডেন। বক্তব্যে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাইডেন বলেন, ৯/১১ এর পরে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট এই অঞ্চল সফর করছেন, যখন এখানে কোনো কমব্যাট সেনা নেই, এ অঞ্চলে কোনো কমব্যাট মিশন নেই। আস্থা গড়ে তুলতে এবং তার বাস্তব ফল পেতে আমাদেরকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রেক্ষাপটে কাজ করতে হবে। এ অঞ্চলকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এক্ষেত্রে জিসিসি হলো একটি উত্তম উদাহরণ। বাইডেন আরও বলেন, আমাকে পরিষ্কার করে বলতে দিন। সেটা হলো, মধ্যপ্রাচ্যে আরো সক্রিয়ভাবে অব্যাহতভাবে যুক্ত থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্স, আরব নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন