ভয়ের কথা বললেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেছেন, যেসব দেশের কাঁধে উচ্চ মাত্রার ঋণ আছে এবং সীমিত পলিসি আছে, তাদের জন্য শ্রীলঙ্কা হলো একটি ‘ওয়ার্নিং সাইন’ বা সতর্ক সংকেত। ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ ফাইন্স্যান্স মিনিস্টারস ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সমন্বয়ে একটি হাইব্রিড মিটিংয়ে এ মন্তব্য করেন জর্জিয়েভা। এ খবর দিয়েছে শ্রীলঙ্কার অনলাইন ডেইলি মিরর। ইউক্রেন যুদ্ধ তীব্র হচ্ছে। এর ফলে পণ্য ও খাদ্যমূল্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কঠোর শর্ত দেখা দিচ্ছে। অব্যাহতভাবে কর্মকাণ্ডে মহামারি সংশ্লিষ্ট বিঘ্ন এবং বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন সঙ্কীর্ণ হয়ে আসেছে। এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর চাপ পড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন জর্জিয়েভা। তিনি আরও বলেন, ফল হিসেবে এ মাসের শেষের দিকে ২০২২ ও ২০২৩ সালে বৈশি^ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আরও অবনমন উঠে আসছে আমাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে। উপরন্তু নিম্নমুখী ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। তা আরও গভীর হতে পারে। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতিতে। এর ফলে আরও শক্তিশালী নীতিগত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, যা সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে উদীয়মান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর প্রভাব বেশি করে দেখা দিতে পারে। তিনি আরও বলেন, যেসব দেশের উচ্চ মাত্রায় ঋণ রয়েছে এবং সীমিত পলিসিগত স্পেস আছে, তাদের ওপর আরও বড় চাপ পড়বে। এক্ষেত্রে সতর্ক সংকেত হিসেবে শ্রীলঙ্কা ছাড়া অন্যদিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। জর্জিয়েভা আরও বলেন, টানা চার মাস ধরে উদীয়মান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো দেখতে পারছে অব্যাহতভাবে পুঁজি চলে যাচ্ছে বাইরের দেশে। তারা তিন দশকে যে অর্থনৈতিক অর্জন করেছিল তা এখন উল্টো দিকে ধাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এবং এর ফলে তারা আরও পিছিয়ে পড়তে পারে। ডেইলি মিরর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন