সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্কের সাময়িক অবসান ঘটিয়েছে। অযোধ্যায় মসজিদের জমিতে তৈরি হচ্ছে ভব্য রামমন্দির। এরই মধ্যে আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বাবরি ধ্বংস মামলা। ফের মামলা দায়ের হয়েছে। সূত্রের খবর, লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর যোশী, সাধ্বী ঋতম্ভরা, উমা ভারতী-সহ মোট ৩২ জনের ‘রিট’ পিটিশন দায়ের হয়েছে। এদের মধ্যে কল্যাণ সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে। মামলাকারী হাজি মাহবুব, সৈয়দ আখলাখ আহমেদের দাবি, সবাই জানে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। তাই যে প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করা হয়েছে, সেটা যুক্তিহীন। এই মামলার সব সাক্ষ্যপ্রমাণ ফের খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারীরা। আদালত সূত্রের খবর, মামলাটি মাস ছয়েক আগে দায়ের হলেও এর শুনানি হয় সোমবার। উল্লেখ্য, প্রায় ২৮ বছর পর ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাবরি ধ্বংস মামলায় রায়দান করে লখনউের বিশেষ সিবিআই আদালত। প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিংসহ ৩২ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়ে জানায়, ওই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। এ মামলার মোট অভিযুক্ত ছিলেন ৪৮ জন। তবে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন ১৭ জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। বলে রাখা দরকার, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি ধ্বংস মামলায় দুটি মূল এফআইআর দায়ের হয়। প্রথমটি ছিল লাখ লাখ করসেবকদের বিরুদ্ধে, যারা নিজের হাতে মসজিদটি ধ্বংস করেন। দ্বিতীয়টি আদভানি, যোশীদের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই খারিজ করে দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই ফের হাই কোর্টে শুনানি হতে চলেছে। সংবাদ প্রতিদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন