শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বৃহত্তম ড্রোন সুপারহাইওয়ে নির্মাণের পথে যুক্তরাজ্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বিশ্বের বৃহত্তম স্বয়ংক্রিয় ‘ড্রোন সুপারহাইওয়ে’ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে যুক্তরাজ্য। আগামী দুই বছরের মধ্যেই এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। বিবিসি জানিয়েছে, ১৬৪ মাইলের ‘স্কাইওয়ে’ প্রকল্পে সংযুক্ত হবে যুক্তরাজ্যের আঞ্চলিক শহরগুলো। কেমব্রিজ ও রাগবির মতো ছোট শহরও থাকবে সে তালিকায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সোমবারই অ্যারোস্পেস খাতের জন্য ২৭ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ডের নতুন তহবিলের অংশ হিসেবে স্কাইওয়ে প্রকল্প উন্মোচন করতে যাচ্ছেন দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং। ‘সুপারহাইওয়ে’ প্রকল্পের পাশাপাশি স্কটল্যান্ড ওষুধ সরবরাহে এবং সিলি দ্বীপপুঞ্জে ডাক পাঠাতে ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। ‘ফার্নবরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারশো’-তে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা দেবেন কোয়ার্টেং। ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে এয়ারশোটি। যুক্তরাজ্য জুড়ে কয়েক বছর ধরে ড্রোন প্রযুক্তির যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল, ‘স্কাইওয়ে’ আরও বড় পরিসরে তারই প্রয়োগ বলে বিবিসিকে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের টেলকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘বিটি’র পরিচালক ডেভ প্যাংকহার্সট। প্রকল্পের অংশীদারদের অন্যতম এই কোম্পানিটি। “ড্রোনের সক্ষমতা বাজারে আছে বেশ অনেক দিন ধরেই। তবে, কার্যকরভাবে সমাজের অংশ হওয়া এবং ব্যবহারযোগ্যতার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি এখনও আঁতুড়ঘরেই আছে।” “তাই আমাদের জন্য এটি সেই উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যের দিকে বড় পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। নানা সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এটি,” বিবিসিকে বলেছেন প্যাংকহার্সট। ২০২৪ সালের মধ্যে স্কাইওয়ে প্রকল্পের অংশ হবে রিডিং, অক্সফোর্ড, মিল্টন কিনেস, কেমব্রিজ, কভেনট্রি এবং রাগবি। এক কোটি ২০ লাখ পাউন্ডের তহবিল পাবে শহরগুলো। ড্রোন প্রযুক্তিকে ঘিরে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। এই প্রকল্পগুলোর একটিতে ‘আইলস অফ সিলি’ বা সিলি দ্বীপপুঞ্জে ডাক ও ওষুধ সরবরাহ করবে ড্রোন। এ ছাড়াও স্কটল্যান্ড জুড়ে ওষুধ সরবরাহ করবে ব্রিটিশ ড্রোন। এর ফলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্থানীয় হাসপাতালেই চিকিৎসা নেওয়ার সুবিধা পাবেন। ড্রোন হাইওয়ে প্রকল্প নিয়ে এভিয়েশন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যালটিটিউড অ্যাঞ্জেল-এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ক্রিস ফোর্সস্টারের মতে, এর সম্ভাবনা অনেক। “কাঁচামাল সরবরাহের ব্যবসা হোক বা পুলিশের জন্য অথবা চিকিৎসা খাতের টিকা ও রক্তের নমুনা পরিবহনের জন্য হোক, আকাশপথ ব্যবহারের অনুমোদনের বড় চাহিদা রয়েছে।” “আমরা আফ্রিকায় কিছু পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালিয়ে দেখেছি। সেখানে যানবাহনের জন্য রাস্তার অবস্থা ভালো ছিল না। টিকা পৌঁছে দিতে সেখানে স্বয়ংক্রিয় ড্রোন ব্যবহার করেছি আমরা,” যোগ করেন তিনি। বিবিসির খবরে বলা হয়, মাটির ওপর বসানো সেন্সর আকাশপথে থাকা ড্রোনগুলোর বিষয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য দেবে। সেন্সরের ডেটা বিচার-বিশ্লেষণ করবে ড্রোনের জন্য আলাদাভাবে নির্মিত ‘ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। ‘ইউনিভার্সিটি অফ দ্য ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ড (ইউডব্লিউই ব্রিস্টল)’-এর সহযোগী অধ্যাপক স্টিভ রাইটের মতে এই প্রকল্পের ড্রোনগুলোর সবচেয়ে বড় ঝুঁকি আকাশপথে ওড়ার সময়ে নয়, বরং ড্রোন উড্ডয়ন এবং অবতরণের সময়ে। “ঝুঁকিটা ফ্লাইটের শুরুতে এবং শেষে। আপনি যখন মানুষের থেকে ১০ ফিট দুরত্বে থাকবেন, ঝুঁকিটা তখনই। আমি এই বিষয়টা নিয়েই শঙ্কিত। আকাশে থাকা অবস্থা আমি জানি যে এটা (ড্রোন) নির্ভরযোগ্য এবং কোনো কিছুতে ধাক্কা লাগাবে না,” বিবিসিকে বলেন তিনি। বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন