বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ডোকলামের কাছে তৈরি আস্ত একটা চীনা গ্রাম!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

২০ জুলাই প্রকাশিত নয়া উপগ্রহ চিত্রে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। দেখা গেছে ভুটানের দিকে ডোকলাম মালভূমির পূর্ব দিকে একটি চীনা গ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ অঞ্চল ভারতের কৌশলগত স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। অঞ্চলটি চীন তার নিজের বলে দাবি করেছে। সেখানে একটি রাস্তা তৈরির চেষ্টা করার পরে ডোকলাম ট্রাই জাংশনে ভারত ও চীনা সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল প্রায় ৭৩ দিন ধরে।
মহাকাশ প্রযুক্তির ওপর ফোকাস করা কোম্পানি ম্যাক্সার এসব ছবি তুলেছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে ছবিগুলো। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গ্রামটি কার্যত প্রতিটি বাড়ির দোরগোড়ায় পার্ক করা গাড়ি নিয়ে সম্পূর্ণভাবে জনবসতিপূর্ণ। আরো জানা গেছে, গ্রামের পাশাপাশি একটি সুন্দরভাবে চিহ্নিত সমস্ত আবহাওয়ার ক্যারেজওয়ে তৈরি করা হয়েছে।
যে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি চীনকে ডোকলাম মালভূমিতে একটি কৌশলগত রিজ পর্যন্ত প্রবেশাধিকার দিতে পারে। নতুন ছবি নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মারফত খবর মিলেছে, ম্যাক্সার থেকে পাওয়া নতুন স্যাটেলাইট ইমেজ ইঙ্গিত করে যে, আমো চু নদী উপত্যকার একটি দ্বিতীয় গ্রামের নির্মাণ এখন কার্যত সম্পূর্ণ হয়েছে। এরই সঙ্গে চীন আরো দক্ষিণে একটি তৃতীয় গ্রাম বা বসতি নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়েছে।
জানা গেছে, এই উন্নয়নের অর্থ হল ভারতের সংবেদনশীল শিলিগুড়ি করিডোর, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোকে দেশের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করে এমন এলাকায় চীনের সরাসরি নজরদারি করতে পারবে। ভারতের কেন্দ্র সরকার আগে বলেছিল যে, তারা তার সীমান্তে সমস্ত কার্যকলাপের ওপর নজর রাখে। চীন পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সহ বেশ কয়েকটি সংবেদনশীল স্থানে সীমান্ত পরিকাঠামো তৈরি করছে যেখানে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
দিন কয়েক আগেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জিনজিয়াং প্রদেশে সফর করেন এবং তার সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ এর জিনজিয়াং মিলিটারি কমান্ড ২০২০ সালের মে মাস থেকে চীনের তরফে এই এলাকায় নজরদারি করছে। দুই পক্ষের মধ্যে সামরিক অচলাবস্থার মধ্যে লাদাখ অঞ্চলে ভারত-চীন সীমান্তের তদারকি করে পিএলএ। তাই চীনা প্রেসিডেন্টের জিনজিয়াং প্রদেশ সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মধ্যে বালিতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় পূর্ব লাদাখ সম্পর্কিত বিরোধের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছিল। জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে বালিতে এক ঘন্টার বৈঠকে জয়শঙ্কর পূর্ব লাদাখের সমস্ত মুলতুবি সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তা ওয়াং ইকে জানিয়েছিলেন। সূত্র : ডেকান ক্রনিকল ও এশিয়ানেট নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন