রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট সংকটের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি হোটেলে একশন এইড বাংলাদেশ এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিং (সানেম)’র উদ্যোগে আয়োজিত 'যুব জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ঝুঁকি: উন্নয়ন নীতি এবং বরাদ্দ পরিকল্পনা' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় সকল দেশই কৃচ্ছ্রতা সাধন নীতি অনুসরণ করছে। জ্বালানি সংকট, খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ আমদানি-রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, আর এটা শুধু বাংলাদেশে নয় পুরো বিশ্বে সে প্রভাব পড়েছে। শুধু টাকার মান কমেছে এটি সঠিক নয়, ইউরো, ইয়েন ও রুপিসহ অনেক দেশের মুদ্রার মান কমেছে।
তিনি জানান, সকল দেশের সরকারই একটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করে কাজ করে থাকে। পৃথিবীর কোনো দেশই গৃহীত নীতিমালার শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারে না। সেটা করা সম্ভবও নয়।
তিনি আরো জানান, কোন দেশেই পরিবর্তন একদিনে আসে না। চোখের পলকে দেশকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। বিশ্বের কোনো দেশই তা পারেনি। সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে একটি দেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছে।
তাজুল বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করতে হলে যুব সমাজকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যুবারা দেশের শক্তি। তারাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি বলেন, আগামীর উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্বপ্নের সারথী হলো দেশের যুব সমাজ। তাদের অংশগ্রহণ দেশকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার পথকে সহজ করে দেবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি তাদের বেসরকারি খাতে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে যে পথনকশা তৈরি করেছেন, সে নকশা অনুযায়ী কাজ করে চলেছেন। দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, সাফল্যের অনেক গল্প আছে। এগুলো অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। সমালোচনা থাকবেই। কোনো দেশের সরকারই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়।
একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিজ ফারাহ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যক্ষ এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিংয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির বিভাগের শিক্ষক শাকিল আহমেদ অংশ গ্রহন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন