সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক ও ব্যাপক বন্যায় শুক্রবার (২৯ জুলাই) অন্তত সাতজন এশীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় নিহতের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আলী সালেম আল তুনাইজি বলেছিলেন, ‘আমরা আপনাদের দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি বন্যায় এশীয় ছয়জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
যদিও পরে মন্ত্রণালয়ের থেকে সর্বশেষ তথ্যে সাতজন এশীয় জাতীয়তার ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেকর্ড অতিক্রম করে যাওয়া দুই দিনের প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় উত্তর ও পূর্ব আমিরাতে অনেক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। অনেক বাসিন্দা সেখানে আটকা পড়েছেন।
আল তুনাইজি জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস আল খাইমাহ, শারজাহ এবং ফুজাইরাহতে দৈনন্দিন জীবন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উদ্ধারকারী ইউনিটগুলো এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৮৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
যাদের বাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৩ হাজার ৮৯৭ জনকে রাখা হয়েছিল। তবে গত দুই দিনে আশ্রয়কেন্দ্রের ৮০ শতাংশই তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত মূলত মরু অঞ্চল। ফলে সারা বছরই সেখানকার আবহাওয়া শুষ্ক থাকে এবং বৃষ্টিপাতও ঘটে খুব কম। সেই হিসেবে অতি বর্ষণ ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশটিতে বিরল।
কিন্তু গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের প্রবল বর্ষণ দেশটির গত ২৭ বছরের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ফুজাইয়াহ এমিরেতেই (প্রশাসনিক অঞ্চল) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার। এছাড়া দেশজুড়ে বর্ষণ ঘটলেও প্রবল বর্ষণজনিত কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে ফুজাইয়া. শারজাহ ও রাস আল খাইমাহ এমিরেতে।
প্রবল বর্ষণের কারণে আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা গেলেও রাজধানী আবুধাবি ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাইয়ে তুলনামূলকভাবে কম বৃষ্টি হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে খালিজ টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন