চলতি জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের তাপমাত্রা জানা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। শুক্রবার ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গ্রান্থাম ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসে যুক্তরাজ্যে দাবদাহের তীব্রতা ১০ গুণ বেড়ে যেতে পারে। ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় জানানো হয়, শিল্প যুগের পর মানবসৃষ্ট উষ্ণায়ন না হলে দেশটির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল প্রতি হাজার বছরে একবার। কিন্তু নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, সে আশঙ্কা এখন প্রতি ১০০ বছরে একবার। অর্থাৎ মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনই যুক্তরাজ্যকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। শিল্প যুগ শুরুর পর থেকে শিল্পায়নসহ মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের জেরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। সাধারণত অস্বাভাবিক গরম আবহাওয়া দুই বা তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে তাকে দাবদাহ বলা হয়। কোনো দেশের গড় তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে দাবদাহ হিসাব করা হয়। ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিসের মতে, সে দেশে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা থাকলে তাকে দাবদাহ বলা হবে। গত ২০ জুলাই ব্রিটেনের অন্তত ৩৪টি অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সেদিন পশ্চিম ইউরোপের তাপমাত্রাও সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল। গবেষকরা ব্রিটেনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়া মধ্য ইংল্যান্ড ও পূর্ব ওয়েলসের জলবায়ু বিশ্লেষণ করেছেন। বিশ্লেষণে প্রাপ্ত ফলে দেখা গেছে, ইউরোপের দাবদাহ বৃদ্ধির ঘটনা জলবায়ু মডেলের অনুমানের চেয়েও বেশি বেড়েছে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গ্রান্থাম ইনস্টিটিউটের জলবায়ু বিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ফ্রেইডরিক অটো বলেন, ‘ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য অংশে আমরা একের পর এক রেকর্ড ভাঙা দাবদাহ লক্ষ করছি। জলবায়ুসংক্রান্ত বেশির ভাগ মডেলের তুলনায় দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠছে পৃথিবী। ’ এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন