আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি, আমেরিকান বুলফ্রগ এবং ব্রাউন ট্রি সাপ ১৯৮৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ফসলের ক্ষতি করেছে। সমস্যার কারণে বিশ্বের প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
সমীক্ষা অনুসারে, লিথোবাটাস ক্যাটাবিয়ানস নামে পরিচিত এই খাকি এবং সবুজ ব্যাঙগুলোর ওজন ২ পাউন্ডের (০.৯ কেজি) বেশি হতে পারে এবং ইউরোপে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। গবেষণায় জড়িত গবেষক ইসমাইল সোটো বলেছেন, ব্রাউন ট্রি স্নেক বা বোয়েগা অনিয়মিত গুয়াম এবং মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকান সৈন্যরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে এই প্রজাতির সাপের প্রবর্তন করেছিল। তিনি আরো বলেন, মাঝে মাঝে এত বেশি সাপ থাকে যে, তারা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ওপর হামাগুড়ি দেয় এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হয়।
এ বিষয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ বোহেমিয়ার পিএইচডি ছাত্র সোটো বলেন, এই পরিস্থিতি এ আক্রমণাত্মক প্রজাতির বৈশ্বিক পরিবহন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিনিয়োগের জরুরি প্রয়োজন নির্দেশ করে যাতে এদের ওপর হামলা এড়ানো যায় এবং এসব প্রজাতি বেঁচে থাকতে পারে। তিনি বলেন, পোষা ব্যবসা আজকাল এই ধরনের প্রজাতির প্রধান আউটলেট, বিশেষ করে এখন সবাই বিদেশী, বিখ্যাত বা বিরল প্রজাতির সাপ পেতে চায়।
তিনি আরো জানান, এমন পরিস্থিতিতে আমরা ক্রমাগত বাণিজ্যের জন্য নিষিদ্ধ প্রজাতির কালো তালিকা আপডেট করার পরামর্শ দিই। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন