ভারতের লঙ্কা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনকে (এলআইওসি) ৫০টি নতুন পেট্রল পাম্প খোলার অনুমোদন দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কায় চলমান তীব্র জ্বালানি সংকট হ্রাস করার চেষ্টার অংশ হিসেবে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এলআইওসি এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। ৭০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার অভাবে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি। যে দুটি কোম্পানি শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি সরবরাহে অধিপত্য বিস্তার করে আছে তার একটি এলআইওসি। ইতোমধ্যে দ্বীপ দেশটিতে এলআইওসি ২১৬টি পেট্রল পাম্প আছে আর নতুন পাম্পগুলো স্থাপনে তারা আরও দুই শত কোটি রুপি (৫৫ লাখ ডলার) বিনিয়োগ করবে বলে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোজ গুপ্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। এলআইওসি ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের অধীনস্ত এবং কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান।
খুচরা জ্বালানি বিক্রির আওতা সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি এলআইওসি ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত এক সমঝোতার আওতায় শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ত্রিনকোমালির কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টোরেজ ফ্যাসালিটির ৭৫টি অয়েল ট্যাংকের নিয়ন্ত্রণ পেতে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম খুচরা জ্বালানি বিক্রেতা রাষ্ট্রায়ত্ত সিলন পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন (সিপিসি) দেশজুড়ে প্রায় ১১৯০টি পেট্রল পাম্প পরিচালনা করে। ডলারের অভাবে শ্রীলঙ্কা যখন সরবরাকৃত জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করতে পারছিল না, ক্রেতারা পেট্রল পাম্পগুলোতে পড়া লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছিল, কখনো কখনো কয়েকদিন ধরে, তখন সিপিসিতে সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছিল এলআইওসি। চলতি বছর দক্ষিণাঞ্চলীয় এই প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার দিয়েছে ভারত। জ্বালানি, খাদ্য ও সার কিনতে অদলবদল ও একাধিক ক্রেডিট লাইনও এর মধ্যে আছে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) এর কাছ থেকে সম্ভাব্য তিন বিলিয়ন ডলারের একটি বেইলআউট প্যাকেজের জন্য আলোচনা করছে শ্রীলঙ্কা, এর পাশাপাশি চীন ও জাপানের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছে তারা। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন