কেনিয়া জুড়ে প্রেসিডেন্ট, আইনসভা এবং স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট গ্রহণের প্রথম দিকে কিছু অনিয়মের খবর পাওয়া সত্ত্বেও সারা দেশে ভোটদান মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কেনিয়ার কিছু ভোটাদাতা স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় সারাদেশে ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার পরও, তাদের ভোট নিবন্ধনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কয়েকটি কেন্দ্রে ইতোমধ্যেই ভোট গণনা চলছে। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ছয় ঘণ্টা পর, সেখানে ৩০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। কেনিয়ার নির্বাচন কমিশন বলেছে, প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দেবে বলে তারা প্রত্যাশা করেছে। দেশটিতে অন্তত ২.২ কোটি মানুষ ভোট দেয়ার যোগ্য।
কমিশন ভোটারদের শনাক্ত করতে সাহায্যকারী সমন্বিত নির্বাচন ব্যবস্থা ব্যবহার করে বেশিরভাগ ভোটার শনাক্তকরণের কাজ করছে। সারা দেশে কিছু ভোটার অভিযোগ করেছেন যে, বায়োমেট্রিক ভোটার নিবন্ধন ঠিক মতো কাজ করছে না বা ভোটারদের শনাক্ত করতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে।
নির্বাচনী সংস্থাটি বলেছে, ৪৬ হাজার ২৩২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৮টি কেন্দ্রে ভোটারদের শনাক্ত করতে তাদের ম্যানুয়াল রেজিস্টার ব্যবহার করতে হয়েছে। এই পদ্ধতিতে তারা অন্তত ১ লাখ ভোটারকে তাদের ভোট দেয়ার অনুমতি দিয়েছে। ব্যালটে ছাপানো ত্রুটির কারণে দুটি গভর্নর এবং চারটি সংসদীয় আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ওই এলাকার ভোটাররা নির্বাচনী সংস্থার আদেশে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীকে একটি ভোটকেন্দ্রে মারামারির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, এবং অন্য একজন সংসদীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে একটি ভোট কেন্দ্রে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
কেনিয়ায় প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তার প্রশাসনের অবসান ঘটছে এবং মঙ্গলবারের ভোটের ফলে দেশটিতে একটি নতুন সরকার আসবে। ভোটকেন্দ্রের ব্যালট গণনা শেষ হবার সাথে সাথেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল আসা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্টকে ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে সাত দিন সময় রয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ব্যক্তিকে সরকার এবং দেশের দায়িত্ব বুঝে নিতে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন