বৃদ্ধা মায়ের ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের অপরাধে ছেলে ও তার বৌকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিল আদালত। গত সোমবার ভারতের মুম্বাইয়ের নগর দায়রা আদালতের পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘ দিন ধরে ছেলে ও বৌমার হাতে অত্যাচারিত হচ্ছেন নবতিপর। তার ওপর গার্হস্থ্য নির্যাতন হয়েছে। তাই পৈতৃক বাড়ি ছাড়তে হবে ছেলেকে। সঙ্গে তার স্ত্রীকেও বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।
ছেলের বিরুদ্ধে একাধিকবার থানার অভিযোগ করেছিলেন নবতিপর মহিলা। ২০০০ সালে তার স্বামী মারা যান। স্বামীর ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে তার। মহিলার অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলে এবং বৌমার ব্যবহার বদলে যেতে থাকে। ফ্ল্যাটের পুরো মালিকানা নিজেদের হাতে নেয়ার জন্য দিনের পর দিন তাকে অত্যাচার করা হয়েছে। আদালতে বৃদ্ধা জানান, এক বার মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন ছেলে। তারপর লাথি মেরে তার ঘরের দরজা ভাঙেন। তার ঘাড় ধরে সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিতে চান। তিনি কোনোভাবেই রাজি হননি। কিন্তু অত্যাচারের সেই শুরু। নিজের বাড়িতেই ছেলে এবং বৌমার ভয়ে মুষড়ে থাকতে হত বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধা।
এ নিয়ে প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়। সেখানকার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নগর দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হন ছেলে এবং তার বৌ। সোমবার আদালতে বৃদ্ধার বৌমা দাবি করেন, স্বামীর বাড়ি থেকে তাকে তাড়ানো যায় না। যার প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, গার্হস্থ্য নির্যাতন মামলার অধীনের বিচারে একজন বৃদ্ধাকে তার বাড়ি থেকে তাড়ানোও সম্ভব নয়। তাই তাদেরই বাড়ি ছাড়তে হবে। এরপর আদালতের নির্দেশ, আগামী দু’মাসের মধ্যে ওই ছেলে-বৌমাকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবে। সূত্র : টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন