শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিহারে বিজেপি সরকারের পতন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিহারে পালাবদল! পাঁচ বছর পর ফের চাচা-ভাতিজার সরকার। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিয়েছেন নীতিশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তার ভাতিজা তেজস্বী যাদব। ২০১৭ সালে মহাজোটের সরকার ভেঙে গিয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তেজস্বীকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলেন নীতিশ। তেজস্বী রাজি না হওয়ায় জোট ভেঙে বেরিয়ে আসেন নীতিশ। পাঁচ বছর পর বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে ফের তেজস্বীর হাত ধরলেন তিনি।

মঙ্গলবারই এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতিশ কুমার। ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে। এর পর তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে জোট সরকার গড়ার আবেদন জানান। পাঁচ বছর পর মহাগটবন্ধনে নীতিশের ফেরা নিয়ে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন, ‘এটা ২০১৭-২০২০ সালের জনাদেশের ঘরওয়াপসি। নয়া সরকার শপথ নিচ্ছে সেটা বলা শুধু ভুল হবে।’ এদিকে, নীতিশকে স্বভাবগত বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গতকাল পাটনার বিভিন্ন জায়গায় ‘নীতিশ কুমার মুর্দাবাদ’ স্লােগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে বিজেপি কর্মীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকমান্ড।
এর আগে ২০১৫ সালে নীতিশ লালুর সঙ্গে জোট করে সরকারে আসেন। তখনও বিশ্বাসঘাতক বলেছিল বিজেপি। তারপর ২০১৭ সালে বিজেপির হাত আবার ধরেন নীতিশ। এবার পাঁচ বছর পর ২০১৫র পুনরাবৃত্তি করলেন নীতিশ কুমার। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিহারে নীতিশের নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসে এনডিএ সরকার। কিন্তু নীতিশ কুমারের দল সংযুক্ত জনতা দলের আসন অনেক কমে যায়। উল্টোদিকে বিজেপির আসন অনেক বাড়ে। যেহেতু এনডিএ নীতিশকে নেতা করেই নির্বাচনে লড়েছিল তাই তাকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে থেকেই একেবারে স্বস্তিতে ছিলেন নীতিশ, এমনটা তার ঘনিষ্ঠ মহল অনেক বার বলেছে।
তার অন্যতম কারণ, চিরাগ পাসওয়ান এবং তার লোক জনশক্তি পার্টি। নীতিশের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল জনতা দলকে চাপে রাখতেই চিরাগ এবং এলজেপিকে ব্যবহার করেছিল বিজেপি। যখন ভোটবাক্সে দেখা গেল, ভোট কাটাকাটির জন্য জনতা দলের আসন কমেছে, তখন বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় নীতিশের। একেবারেই মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি তিনি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুরোধে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। তা সত্ত্বেও একেবারেই স্বস্তিতে ছিলেন না নীতিশ। গত এক বছরে এনডিএ জোটের দুই দলের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে। যেটা দুবছরের মাথায় বিজেপি-জেডিইউ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ, বলছেন নীতিশ ঘনিষ্ঠরা। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন