শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে পণ্যবাহী ট্রাক গেল মেঘালয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে মেঘালয়ে গেছে পণ্যবাহী ট্রাক। ভারতীয় পণ্য নিয়ে ট্রাকটি গতকাল বুধবার সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে মেঘালয়ে প্রবেশ করে। এটি গত ১ আগস্ট কলকাতা থেকে জাহাজে করে মোংলা বন্দরে আসে। প্রথমবারের মতো ভারতীয় পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের স্থলবন্দর ব্যবহার করা হলো। এ চালানে ছিল ইলেক্ট্রো স্টিল কাস্টিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ৭০ প্যাকেজের ১৬ দশমিক ৩৮০ টন লোহার পাইপবাহী কন্টেইনার।
এ ট্রানজিট পর্যবেক্ষণে তামাবিল স্থলবন্দরে দুপুরে এসেছিলেন সিলেটের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই-কমিশনার নীরজ কুমার জয়সওয়াল ও গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই-কমিশনার এবং মিশন প্রধান শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর এবং বন্দর কর্মকর্তারা।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে হয়ে যাওয়া ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্যা ইউজ অফ চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অফ গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি)’ চুক্তির আওতায় বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে এদেশের বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করা হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে একটি জাহাজ ছেড়ে আসার পর রোববার সকালে মোংলা বন্দরে নোঙর করে। সোমবার দুপুরে খালাসের পর দুটি কন্টেইনারের একটি ভারতের মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বুধবার সকালে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে আসে। আরেকটি কন্টেইনার কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসামে যাওয়ার কথা রয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে চুক্তিটি হয়। প্রথম পরীক্ষামূলক চলাচল হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। তখন কলকাতা বন্দর থেকে পণ্যবাহী নৌযান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে স্থলপথে পণ্য আগরতলা নেয়া হয়েছিল। তখনকার পণ্য ছিল ডাল ও রড। কিন্তু করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় গত চার বছরে এই চুক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। পরে ভারতের পক্ষ থেকে চারটি রুটে ট্রায়াল রানের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
আপাতত দুটি স্থলবন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে চারটি ট্রায়াল রানের প্রথমটি শুরু করেছে কলকাতা বন্দর। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ট্রায়ালে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশি নৌযান (কার্গো) ‘এমভি রিশাদ রায়হান’ পণ্যবোঝাই দুটি কন্টেইনার নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত এসিএমপি ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে একটি অনন্য মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে’।
সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার নীরজ কুমার জয়সওয়াল জানান, ‘ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনীতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরো ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন