ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বিজবেহারা এলাকায় পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী ‘সিআরপিএফ’-এর একটি যৌথ বাহিনীর ওপর গতকাল (শুক্রবার) অজ্ঞাত গেরিলারা হামলা চালিয়েছে। হামলায় এক পুলিশ সদস্য আহত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘিরে ফেলে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চলছে। আট ঘণ্টার মধ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় হামলার ঘটনা। এর আগে শুμবার ভোররাতে বান্দিপোরায় বিহারের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত ১০ মাসে বিহারের ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত গেরিলারা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে বা গতকাল ভোররাতে বান্দিপোরায় ভিন রাজ্যের শ্রমিকের ওপর গুলিবর্ষণ করে অজ্ঞাত গেরিলারা। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মুহাম্মাদ আমরেজ নামে এক শ্রমিক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওই হামলার বিষয়ে, কাশ্মীর জোন পুলিশ বলছে, গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা বান্দিপুরার সোদনারা সুমবলে বিহার রাজ্যের বাসিন্দা মুহাম্মাদ আমরেজের উপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে আহত হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের খোঁজে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজৌরি জেলার একটি সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা ব্যর্থ করেছে সেনাবাহিনী। চার ঘণ্টার সংঘর্ষে আক্রমণকারী দুই গেরিলা সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়। সংঘর্ষে তিন রাজ্যের চার জওয়ান নিহত হন। নিহতরা হলেন, সুবেদার রাজেন্দ্র প্রসাদ (ঝুনঝুনু, রাজস্থান), রাইফেলম্যান লক্ষ্মণন ডি (তামিলনাড়ু), রাইফেলম্যান মনোজ কুমার, (শাহজাহানপুর, ফরিদাবাদ-হরিয়ানা) এবং রাইফেলম্যান নিশান্ত মালিক (আদর্শ নগর, হিসার-হরিয়ানা)। ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনায় আহত দুই জওয়ানের চিকিৎসা চলছে।
সংঘর্ষস্থল থেকে নিহত গেরিলাদের কাছ থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল, ৯টি ম্যাগাজিন, ৩০০ কার্তুজ, ৫টি গ্রেনেড, গুলিবারুদ ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার পর গোটা এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিনব্যাপী তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়। ডিজিপি দিলবাগ সিংয়ের মতে, জইশ-ই-মুহাম্মাদ গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা ক্যাম্প পর্যন্ত পৌঁছেছিল কিন্তু তাদের হত্যা করা হয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন