বৃহস্পতিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সউদিতে পুনর্বাসন হতে পারে গুয়ানতানামোর বন্দিদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪৫ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র গুয়ানতানামো বে বন্ধ করার লক্ষ্যে বন্দিদের নিরাপদে পুর্নবাসনের জন্য জায়গা খুঁজছে। বাইডেন প্রশাসন এমন একটি প্রশাসনের খোঁজ করছে, যা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গ্রহন করতে ইচ্ছুক। যেসব বন্দির নিজ দেশে ফেরার উপায় নেই বা অন্যান্য দেশে নিরাপত্তা নিশ্চত করা সম্ভভ নয়, তাদের জন্য গন্তব্য হতে পারে সউদি আরব। যারা ধর্মীয় চরমপন্থার দিকে আকৃষ্ট এবং যাদের মগজ ধোলাইয়ে পরে যা ঘটে, তাদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং সমাজে পুনর্বাসনে সহায়তার জন্য সউদি আরব সেন্টার ফর কাউন্সেলিং অ্যান্ড কেয়ার চালু করেছে।

২০০৪ সালে চালু হওয়া প্রোগ্রামটি আফগানিস্তান সহ অন্যান্য স্থানের সন্ত্রাস প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি থেকে প্রভাবিতদের বাড়ি ফেরাদের পুনর্বাসনের জন্য সউদির সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ। প্রায় ৬ হাজার পুরুষ এই কর্মসূচির কোনো না কোনো ধারার মধ্য দিয়ে গেছে, তাদের মধ্যে গুয়ানতানামো বে থেকে আগত মার্কিন সামরিক কারাগারের ১ শ’ ৩৭ জন প্রাক্তন বন্দী রয়েছেন, যাদের কেউই যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়নি। ২০ বছরেরও বেশি আগে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর বিশ্বজুড়ে আটককৃত সন্ত্রাসবাদী সন্দেহভাজনদের রাখার জন্য খোলা গুয়ানতানামো বে’র কারাগারে এক সময় সেখানে প্রায় ৭ শ’ ৮০ জন পুরুষ বন্দি ছিল। বর্তমানে এর সংখ্যা ৩৬। এবং তাদের অর্ধেকেরও বেশিকে মুক্তির অপেক্ষায় রাখা হয়েছে।

এই বন্দিদের পুনর্বাসন পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্যভাবে স্থান পেয়েছে সউদি আরব। এরপরেই রয়েছে ওমান, যেটি ২৮ জন ইয়েমেনি পুরুষকে একটি অত্যন্ত গোপনীয় প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবার, বাসস্থান এবং চাকরি খুঁজে দিতে সহায়তা করেছে। এবং যারা পুনর্বাসিত হয়েছে, তাদের কারোরই যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচার হয়নি।

সউদির সেন্টার ফর কাউন্সেলিং অ্যান্ড কেয়ার প্রোগ্রামটি সউদি আরবের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফের প্রতিষ্ঠিত। প্রোগ্রামের পরিচালক ওয়ানিয়ান ওবিদ আলসুবাই বলেছেন যে, সউদি কারাগারে গুয়ানতানামোর দুই প্রাক্তন বন্দী সাজা পূর্ণ করার পর তাদের এই কর্মসূচিতে গৃহীত হবে। তিনি বলেন, ‘তারা আর বন্দী নয়। তাদের সমাজে ফিরে যেতে হবে। আমরা চাই তারা গৃহীত বোধ করুক এবং এটি আরেকটি সুযোগ।’ সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন